সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

আমার চোখে শিশির ঝরলো তাই আপনাদের জন্য পোস্ট করলাম

আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।

আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেন নি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশ পেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্যে অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬ মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা !

আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।

আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিলো। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিলো। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিলো না !

এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।

নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।

পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয়! স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবো না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

মা বললেন, কোথায় যাবি? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।

দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি।

যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে। ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনি কেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিলো।

বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকে নিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিও আনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের ক্লাসে উঠেছি, নতুন বই লাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন। সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম।

আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো।

প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথা জানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালবাসা পেতাম।

আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। ওইটা ছিলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।

আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথম ময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি! আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিলো। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।

সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন, মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরে বললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।

পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করে ফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলে আমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না। পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্স হবে না।

হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না !

এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিলো না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন।

আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তা করবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন।

প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আর বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।

এস.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো।

আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটা পারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয় নি। আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না!

(বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের নিজের ভাষায় তাঁর জীবন কথা)

http://qorum.quantummethod.org.bd/viewtopic.php?f=864&t=10653

শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৩

Adjectives

হতাশ হলাম। কারো কোন রেস্পনস নাই।  যাই হোক বাংলা অর্থ ও উচ্চারন দেয়া হল।

dick (ডিক )-মোটা
dünn (ডুন )-পাতলা

groß(গ্রোছ)- বড়
klein(ক্লাইন )-ছোট

langsam(লাংজাম)- আস্তে
schnell (স্নেল )- দ্রুত

schwer (সোয়েয়ার)- ভারী
leicht (লাইস্ট )- হালকা

sauber (জাউবার )- পরিস্কার
schmutzig (স্মুতজিক)- ময়লা

nass নাছ )- ভেজা
trocken ট্র্কেন )- শুখনা

hart হার্ট )-শক্ত
weiss ভাইস )- নরম

vorne ফনে )- সামনে
hinter হিন্টার )- পিছনে

offen আফফেন)- খুলা
geschloss গেস্লছেন )- বন্ধ

rechts রেক্টস )- ডান
links লিংকস )- বাম

lang লানগ )- লম্বা
kurz কুর্ছ )- ছোট

voll ফল )- ভরা
lear লেয়ার )- খালি

heiß হাইস )- গরম
kalt কাল্ট )-ঠান্ডা


বলুনতো কোনটাকে বাংলায় কি বলে ?

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৩

এজেন্সি- স্বপ্ন ও বাস্তবতা (পর্ব ৮ )- সম্মান আর ভালবাসা

সেদিন  ক্লাসে স্যার ইউ রেগুলেশন(EU Regulation 2004) পড়াচ্ছিলেন। শুরু করে আমার দিকে তাকিয়ে  আবার তার লেকচার শুরু করলেন। কিছুক্ষন পর আবার তাকালেন। এবার লেকচার থামিয়ে  তার ডেস্কের পাশে রাখা কম্পিউটার এ কি যেন করছেন। তার আকস্মিক লেকচার থামিযে দেয়ায় সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে বিস্ময় নিয়ে।কিছুক্ষন কম্পিউটার এর দিকে তাকিয়ে  থেকে আমাকে সামনে যেতে বল্লেন । তাহলে কি আমি যে টেবিলের নিচে মোবাইল দেখছিলাম তা দেখে ফেলেছে?আমাকে খালি হাতে সামনে যেতে দেখে এবার বলল ;বিটে মিট টাসে , মানে প্লিজ উইথ ব্যাগ। আমি এবার সিওর আমার মোবাইল কাহিনি এর শাস্তিসরুপ সামনের সিটে বসা।এই ভেবে যেইনা  সামেনর ব্যান্চ্হে বসতে যাচ্ছি সে এইবার বলল ,নিসট ডররট. মানে  এই খানে না. একটা চেয়ার নিয়ে আমার কম্পিউটার এর সামনে বস। সারা ক্লাসের সব জার্মান স্টুডেন্টরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।  সে আমাকে কম্পিউটার ডেস্কে বসিয়ে হাতে কিছুক্ষন আগে তারই দেয়া ইউ রেগুলেশন(EU Regulation 2004) এর জার্মান ভার্সনটা রেখে কম্পিউটার থেকে   ইংরেজি ভার্সনটা পড়তে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। আর কিছুক্ষন পর ফিরে এলেন  ইংরেজি ভার্সন এর প্রিন্ট আউট কপি নিয়ে। আসলে  কিছুক্ষন আগে আমার শুখনা মুখ দেখে আমার যে  জার্মান টার্ম বুঝতে  সমস্যা হচ্ছে সেটা খেয়াল  ।আর আমি যে  টেবিলের নিচে মোবাইলে ট্রান্সলেটর দিযে ইংরেজি অর্থ খুজছিলাম তা বুঝতে পেরেছিলেন । আর সে জন্যই তার এ প্রচেষ্টা। আমি ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত।


এবার এজেন্সি এর ঘটনায় আসি। গত লেখায় যেখানে শেষ করেছিলাম তার পর থেকে বলি। যারা আগের লেখাগুলো পড়েননি তারা বিসাগ এর গত নিউজলেটারগুলু  থেকে পড়তে পারেন।

প্রথম যখন ৩১৩৫ টাকা দিয়ে স্টুডেন্ট ফাইল খুললাম তার পরেন দিনই কালার প্রিন্ট করা হাম্বল্ড  ল্যাগুয়েজ ইন্স্টিটিউট এর অফার লেটার আর টেলিফোনে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জমা দেবার জন্য  তাড়া ।

কিন্তু সমস্যা হল ইউনি এর অফার লেটার সহ নতুন অফার লেটার পেতে।  ৩-৪ সপ্তাহের পরেতো দূরের কথা ১২ সপ্তাহে পরে অফার লেটার পেলাম।  এর ভেতরে যখনই জানতে চাইতাম করে আসবে তখনি ৬৯ বুঝাত। তাও ভাল অবশেষে অফার লেটার আসছে। পরেন দিন অফার লেটার হাতে দিয়ে বলল স্কেন করে এম্বেসী এর মেইল এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে , ভিসা ইন্টারভিও এর ডেট নেবার জন্য।  এখান কার মত তখন এম্বেসিতে এত চাপ ছিল না ভিসা ইন্টারভিও ডেট পেতে। আর তখন ইমেইল এর মাধ্যমে ডেট নেয়ার নতুন নিয়ম  চালু হয়।  তাই এম্বেসী থেকে কুইক রেসপন্স পাওয়া যেত। অফার লেটার আর এম্বেসী এর ইমেল এড্রেস হাতে ধরিয়ে পাঠাল মিস্টার আলমগীর এর কাছে। কোন ভাষায় ইমেল লিখব তা জেনে নিতে। উনার কাছ থেকে কি শিখব (যে ইন্টারনেট এক্র্প্লরাল আর গুগুল ক্রম কি জিনিস ঠিকমত জানে না)  উল্টা কিছু শিখাইয়া আসলাম। তার চেয়েও অবাক করার বাপার হল , আমি তার কম্পিউটার থেকে শুধু এম্ব্সিতে মেইল পাঠাতে চাইলাম , স্টুডেন্টদের জন্য তাদের অফিসে কোন কম্পিউটার নেই তার সরাসরি উওর।  অথচ স্টুডেন্ট দের জন্যই তারা কাজ করছে। আমর এর জন্য সার্ভিস চার্জ ই নিচ্ছে। অফার লেটার হাতে নিয়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন আসল। সেগুলু জানানোর আগে দেখুন কেমন ছিল সেই অফার লেটার।



এবার প্রশ্নগুলু বলি।  উপরের ছবি ভাল করে দেখবেন মাঝখান দিয়ে কাটা দাগ দেয়া। এটা করার কারন যাতে কেউ যদি অফার লেটার পারবার পার আর তাদের কাছে না যায় এই ভয়ে কেটে দিয়েছে। কিন্তু এম্বেসী যে এটাকে বাতিল পেপার বলবে এ চিন্তা আর তার করেন নাই।  আমি বললাম ফ্রেস একটা প্রিন্ট করে দিতে , তার বলে এতেই হবে।  কি আর করব র্তক না করে এটাই পরের দিন স্কেন করে ডেট এর জন্য মেইল দিলাম। যা ভেবেছিলাম তাই হল।  এইবার ঠিকই ফ্রেস কপি প্রিন্ট করে দিল।  পরের প্রশ্ন হল , আমি জমা  দিয়েছি  (১০৬টাকা- ১ ইউর হিসাবে) ২ লক্ষ টাকা , আর অফার লেটারে আছে ২৫০০ ইউরো পেইড।  আর ইউনি এর অফার লেটারে কোন সাবজেক্ট এর নাম লেখা নেই।  উওর হল, এই অফার লেটার শুধু ভিসা ইন্টারভিও এর জন্য ভিসা হলে তখন নতুন অফার লেটার আসবে। 

কিন্তু এই কপি দিয়ে এম্বেসিতে মেইল দেবার পর এম্বেসী আমাকে কি উওর দিয়েছিল দেখুন 

Dear Mr. Based Khan,

Sofar you send only the paper of the language course, but we need also a scan of your admission letter for German university.
Please send it to this email address. Then we can give you an appointment date.

Kind regards,
Embassy of the Federal Republic of Germany


 এবার প্রশ্নগুলো বলি। উপরের ছবি ভাল করে দেখবেন মাঝখান দিয়ে কাটা দাগ দেয়া। এটা করার কারণ যাতে কেউ যদি অফার লেটার পাবার পর আর তাদের কাছে না যায় এই ভয়ে কেটে দিয়েছে। কিন্তু এম্বেসী যে এটাকে বাতিল পেপার বলবে এ চিন্তা তারা করেন নাই। আমি বললাম ফ্রেশ একটা প্রিন্ট করে দিতে কিন্তু তারা বলে এতেই হবে। কি আর করব র্তক না করে এটাই পরের দিন স্ক্যান করে ডেটের জন্য ইমেইল দিলাম। যা ভেবেছিলাম তাই হল। এইবার ঠিকই তারা ফ্রেশ কপি প্রিন্ট করে দিল। পরের প্রশ্ন হল, আমি জমা দিয়েছি (প্রতি ইউরো ১০৬ টাকা হিসাবে) ২ লক্ষ টাকা, আর অফার লেটারে আছে ২৫০০ ইউরো পেইড। আর ভার্সিটির অফার লেটারে কোন সাবজেক্টের নাম লেখা নেই। উত্তর হল, এই অফার লেটার শুধু ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্য। ভিসা হয়ে গেলে তখন নতুন অফার লেটার আসবে।
এইবার নতুন ফ্রেশ অফার লেটার দেবার পর এম্বেসী থেকে আবার নতুন ইমেইল পেলাম যাতে লেখা ছিল- Dear Mr. Md.Anisul Hoque Khan, I am sorry for you, but at this moment, our schedule for appointments is completely full. The first possible option for your appointment at the Embassy will be on Wednesday 14 March at 9.00 AM. After that, it takes at least 4-5 weeks for the whole process of approving for visa. Perhaps you write to your university/language course and ask if you still can join on a later date. Please send me a mail to confirm if you will come for your application and interview on 14 March. To help to speed up the process a bit, there is one other thing you can do. Please ask the bank with whom you have your Blockaccount to send an email to the embassy with a scan of your Blockaccount. Kind regards, Embassy of the Federal Republic of Germany.
কারন অফার লেটারে বলা আছে আমার ক্লাস শুরু হবে ২৬ মার্চ ২০১২ থেকে। কি আর করা, আবার গেলাম ভিসা ওয়ার্ল্ডের অফিসে নতুন অফার লেটার নিতে। ওদের কথা হচ্ছে নতুন অফার লেটার আসতে সময় লাগবে, এম্বেসীর দেয়া ডেট এ রাজি হতে। ইন্টারভিউ এর পর কি হবে তা পরে দেখা যাবে। কথাগুলো এমন করে বলল যার মানে হচ্ছে এম্বেসী থেকে আগে কোনমতে ভিসা ইন্টারভিও ডেট হাতে পাও পরেরটা পরে দেখা যাবে।

গতকাল ক্লাসটেস্ট পরীক্ষায় আবার ও সেই টিচার আমার পাশে এসে বলল , আমার যদি জার্মান ল্যাগুয়েজে উওর দিতে প্রবলেম হয় আমি যেন ইংরেজিতে লিখি ।  আর কোন ওয়ার্ড এর ইংরেজি যদি না পাই তাকে যেন বলি সে না জানলে নেট থেকে বের করে দেবে। শুধু একজন টিচার না সবাই ঠিক একই রকম ব্যবহার করে। তারা তাদের সর্বোচচ্ চেস্টা করে আমাকে সব ধরনের হেল্প করার জন্য। অথচ ক্লাসের ১৬ জার্মান স্টুডেন্ট এর মাঝে আমি একমাত্র  বিদেশী

ভাবতে অবাক লাগে , ১ জন বিদেশী ছাত্র এর জন্য আমার ক্লাসের টিচাররা আজ যা করছে তারা যদি তা না করত তা হলেও কিছুই বলার বা করার ছিল না।  অথচ আমার দেশের  এজেন্সি এর কাছ থেকে টাকা দিয়ে যে সার্ভিস পাবার কথা ছিল তা কিন্তু আমি পাই নি। আর  আমার টিচাররা এর বেতন ও কিন্তু আমি দেই না দেয় জার্মান সরকার। একেই বোধ হয় দায়িত্ববোধ আর নৈতিকতা বলে। অন্তরের গভীর থেকে সম্মান আর ভালবাসা থাকবে সবসময় তাদের জন্য।


(চলবে )
এজেন্সির ব্যাপারে আরো পড়ুনঃ স্বপ্ন ও বাস্তবতা পর্ব ১: http://bsaagweb.de/newsletter_april2013/ স্বপ্ন ও বাস্তবতা পর্ব ২: http://bsaagweb.de/newsletter_may2013/ স্বপ্ন ও বাস্তবতা পর্ব ৩: http://bsaagweb.de/newsletter_june2013/ স্বপ্ন ও বাস্তবতা পর্ব ৪: http://bsaagweb.de/newsletter_july2013/ স্বপ্ন ও বাস্তবতা পর্ব ৫: http://bsaagweb.de/newsletter-august-2013/ স্বপ্ন ও বাস্তবতা পর্ব ৬: http://bsaagweb.de/newsletter-september-2013/ স্বপ্ন ও বাস্তবতা পর্ব ৭: http://bsaagweb.de/newsletter-october-2013/




মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

জলকন্যা

প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় সতীর্থদের সঙ্গে। ছবি: সংগ্রহ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জন্ম মুসলিমা আক্তারের। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ২০০৩ সালে দিগাব আমজাদিয়া সিনিয়র কাপাসিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেন। পরিচিত এক বড় ভাইয়ের সহায়তায় ২০০৫ সালে খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। প্রশিক্ষণ শেষে ভারতের হায়দরাবাদে জেভেনিয়া হোটেলে কাজ শেখেন। বছর দুয়েক সেখানে কাজও করেন। ভারত থেকে পাড়ি জমান মালদ্বীপে।

মালদ্বীপের ফারিবা নামের এক প্রতিষ্ঠানে কিছুদিন খাদ্য ও পানীয় নিয়ে কাজ করেন। তারপর সেখানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ পেয়ে যান। এই মালদ্বীপের সাগরই তাঁকে প্রথম টানে। হঠাৎ করে সাগরের তলদেশ দেখার আগ্রহ ইচ্ছা জাগে মুসলিমার মনে। কিছুতেই সে ইচ্ছা দমিয়ে রাখতে পারেন না। আবার হাতে পর্যাপ্ত টাকাও নেই। টাকা জমাতে শুরু করেন। এরপর নিজের স্বপ্ন পূরণ, অর্থাৎ ডুবুরি হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন। ছয় মাসে তিনটা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। হয়ে যান ‘পেডি মাস্টার স্কুবা ডাইভার’। এরপর আর তাঁকে থেমে থাকতে হয়নি। ভারতে যাওয়ার সময় মেয়ে জেরিনকে মায়ের কাছে রেখে এসেছিলেন মুসলিমা। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পর মেয়েকে নিজের কাছে আনেন।
মুসলিমা আক্তার এখন পাডি নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ডাইভিং প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। থাকেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নসে। মেয়েও থাকে তাঁর সঙ্গে।এবার মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষকে প্রতিদিন সাগরের তলদেশের সৌন্দর্য দেখাতে নিয়ে যাই। নানা দেশের মানুষের ভিড়ে শুধু নিজের দেশের মানুষকে খুঁজি। হঠাৎ যদি কাউকে পেয়ে যাই, কী যে আনন্দ হয়। তা কাউকে বোঝানো যাবে না।’

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৩




Der Bleistift (ডেয়ার ব্লাইসটিফ্ট) - পেন্সিল 
Der Schreibtisch (ডেয়ার স্রাইবটিস্ *)- টেবিল 
Der Stuhl (ডেয়ার স্টুল )- চেয়ার 
Der Spitzer (ডেয়ার স্পিটজা )- পেন্সিল কাটার 
Die Tafel (ডি টাফেল )- ব্ল্যাক বোর্ড 
Das Papier (দাছ পাপিয়ার )- কাগজ 
Das Lineal ( দাছ লিনিয়াল )- স্কেল 


বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৩

My Student life in Germany


Today in our TREAD THEORY class our honourable teacher(Herr Frankeser) is discussing about EUVO (European Regulation about Hygine ) . I sat at the last banch of the class and listening the lecture with my nervours looking face. Our teacher is giving his speech but i was sometione looking under my table . May be he noticed that. Suddenly he stopped giving his speech and went to the computer desk beside his lecher desk. He is reading something in the computer. A pin drop silence situation creats in our whole class. After few minuts he returned again his lectur desk and direct call me by saying PLEASE COME HERE WITH YOUR BAG AND THINGS. Has he noticed that i am doing something in my mobile under my table ? I was thinking that and with full of fear and shy went to him. Whole class and 16 German students look toward me. I thougth that he asked me to seat on the first Bench. when i was sitting on the first Bench he told me..NO NO ..come here .Seat on the computer table and try to solve the problems of your lectur shet .Its a terriable situation. I am sitting in my teachers computer table.Whole class look toward me. He told me again Please read the documents opened in the computer in front of you. Actully when i was searching the english meaning of the lectur of our topics my teacher notiched that and thats why he search a english copy of the europian regulation of Hygine for me and call me in his desk. At the same time he brought a print out copy for me.I am speechless and suprised. Its unbeliable and a great achivement for me.My last 16 Years school, college, University life i did not receive this type of behaviour,help and cooperation from my teacher. I am really greatfull to my teacher. I have problem with german language and they know that and they are trying ther best ot help me.Its really a great achivement for me.I am really thankfull to them and will my whole life i will say .Thanks Herr Frankeser. 

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩

Aye Rangrez Mere: Lyrics, Translation (Tanu Weds Manu)

Hindi 
Aye rangrez mere, rangrez mere
ek baat bata rangrez mere
ye koun se paani mein tune
koun sa rang ghola hai,
ye koun se paani mein tune
koun sa rang ghola hai
ke dil ban gaya saudai,
aur mera basanti chola hai,
mera basanti chola hai,
 

English Translation 
Oh dyer of mine, Dear Dyer of mine, 
Please reveal your secrets divine, 
What concoction have you created dear, 
Of your colors and godforsaken water! 
My heart’s all blue in love so profound, 
My cloak’s soaked in saffron unbound… 

Hindi 
Ab tumse kya main shikwa karun,
Maine hi kaha tha zid karke, rang de chunri pi ke rang mein
(rang de, rang de chunri pi ke rang mein)
Par mue kapas pe rang na ruke
rang itna gehra tera Ki jaano jigar tak bhi rang de..
Jigar rang de…
 

English Translation 
How am I to complain of my tale? 
I like a stubborn asked you to color my veil, 
Oh! Your colors penetrated my fabric, insane, 
Deep within my heart ‘n soul everything’s dyed of your stain, 
Color my heart away, Oh this feelin’… 

(Antara) 
Hindi 
Rangrez tune afeem kya hai kha li,
Jo mujhse tu ye pooche ke koun sa rang?
Rangon ka karobaar hai tera,
ye tu hi to jaane, koun sa rang..
 

English Translation 
Dyer, Are you so intoxicated on Opium! 
Why ask me, what shade now to come undone? 
Color and stains is your business of things, 
You only know, what should you be coloring… 

Hindi 
Mera balam rang, mera saajan rang,
Mera katik rang, Mera aghan rang, mera phagan rang,
mera saawan rang,
Pal pal rangte rangte, rangte mere atho pahar manbhawan rang
Ek boond ishqiyan daal koi tu, O…,
Ek boond ishqiyan daal koi,
Mera saaton samandar jaye rang,
 

English Translation 
My beloved hue, My soulmate shade, 
My spring , my autumn, my rainfall, you color all my seasons with your pallette 
A single drop of your love ingredient 
Just a single drop of your romantic blend 
Colors up my seven seas in a second, 

Hindi 
Meri hadd bhi rang, sarhad bhi rang,
Behad rang de, anhad bhi rang de,
Mandir masjid maikad rang,

(Rangrez mere, Rangrez mere)
Rangrez mere do ghar kyun rahe,
Ek hi rang mein dono ghar rang de, dono rang de,
 

English Translation 
Color me off limits, Color my boundaries, 
Color me extreme, color my unceasing infinities, 
My temple, My mosque, My entire world indeed 

Oh dyer, why must we be separated by two different spaces, 
Paint just one single shade to both worlds with your embraces, 

Hindi 
Pal pal rangte rangte rangte rangte naihar peehar ka aangan rang
Pal pal rangte rangte rangte rangte mere atho pahar manbhawan rang
Neende rang de, karwat bhi rang,
Khwabon pe pade salwat bhi rang
 

English Translation 
Paint every moment, 
The courtyards of my maternal and marital heavens 
Drape in one single shade all my 24 sevens 
Color my sleep, color my peace, 
Color even the creases of my dreams, 

Hindi 
Ye tu hi hai, hairat rang de,
Aa dil mein sama hasrat rang de,
Fir aaja aur vaslat rang de,
Aa na sake to furqat rang de
Darde hijra liye dil mein darde, hijra liye dil mein darde main zinda rahu,
Zinda rahu, zurrat rang de. 

English Translation 
Color my amazement of you, 
Come paint the desires of my heart too, 
Color away our union, 
And if you can’t, forget not to paint our separation, 
Even with the pain of being apart, i must live on, 
Color my dare to carry on, 


Hindi 

Rangrez mere, Rangrez mere,
Tera kya hai asal rang, ab to ye dikhla de,
Mera piya bhi tu, meri sej bhi tu,
Mera rang bhi tu, rangrez bhi tu,
Meri naiyaa bhi tu, majdhar bhi,
tujhmein dooboo, tujhmein ubarun,
Teri har ek baat sar aankhon pe,

Mera malik tu, mera sahib tu,
Meri jaa meri jaan, tere haatho mein,
Mera qatil tu, mera munsif tu,
Tere bina kuch sujhe na, Tere bina kuch sujhe na,
 
English Translation 

O dyer of mine, 
What’s your own real color? reveal your shine, 
Oh you’re my lover, my resting ground is you, 
My color and my colorful dyer too, 
My sail, my center of ocean, 
I sink in you, I come afloat under your beacon 
Your every word is my supreme given 

You are my owner and my dearest freind, 
My breathing soul is in your able hands, 
Oh my murderer, my justive giver 
I’m clueless without you forever, 

Hindi 
Meri raah bhi tu, mera rehbar tu,
Mera sarvar tu, mera aqbar tu,
Mera mashrik tu, Mera magrib tu,
Zahid bhi mera, murshid bhi tu,

Ab tere bina main jaun kahan,
Ab tere bina main jaun kahan,
Ab tere bina main jaun kahan,
Tere bina tere bina tere bina……
 
English Translation 
My journey, my travel mate in sight, 
My riddance, My genesis, My guiding light, 
My lord is you, my disciple too, 
I found a sage and divine signs in you, 

Where could I go without you, 
Where could I go without you, 
Where could I ever go without you, 
Without you... 

(Mukhda) 
Hindi 
Aye rangrez mere, rangrez mere
ek baat bata rangrez mere
ye koun se paani mein tune
koun sa rang ghola hai,
ye koun se paani mein tune
koun sa rang ghola hai
ke dil ban gaya saudai,
aur mera basanti chola hai,
mera basanti chola hai,
 

English Translation 
Oh dyer of mine, Dear dyer of mine, 
Please reveal your secrets divine, 
What concoction have you created dear, 
Of your colors and godforsaken water! 
My heart’s all blue in love so profound, 
My cloak’s soaked in saffron unbound… 

(End) 

Meanings of selected words from the song lyrics above 

Rangrez- Dyer 
Munsif – Justice 
Zahid – origin/culture 
Murshid – Advisor 
Saudai – Islamic color 
Hairat – surprise 
Zurrat – lonely 
Chunri – A veil traditionally worn in indian subcontinent over a salwar kameez. Chunni or chunri or duppatta allows a girl to cover her head and bosom, as the custom is.