বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৩

জারমানির দিনকাল

২৭ জুন ২০১৩ রাত ১:৫৩
জারমানীতে এসেছি প্রায় একবছরতো হয়ে গেল।অনেকদিন হল ফাইবুরগ এ বন্দুদের খবর নেয়া হয় না। আসলে এখন আর ইচ্ছা করে না কারো সাথে যোগাযোগ করতে।তার পরেও একটা কৌতুহল যা আমার ভিতরে অনেক বেশি, তাইতো কি খবর সবার জানতে রায়হানের বিভার এ ফোনদিতেই বিভার বলে ও আর নাকি ইউজ করে না।এটা দেখেতো কৌতুহল আরও বেড়ে গেল।বলে কি শেযমেয তারই আর এক রুমমেট সুব্রত কে কল দিলাম মোবাইল থেকে।সে ও ফোন ধরে না।এবার ফোনদিলাম আর একরুমমেট ইমরানকে।সে বলে সুব্রত ঘুমাচ্ছে তাই ফোন ধরে না। ইমরানকে বললাম সুব্রত এর স্কাইপ অন করে আমাকে কল দিতে ।কল রিসিপ করে সবার কি অবস্তা জানতে চাইতেই যা বলল তাতে মনটা খারাপ হয়ে গেল। রায়হান নাকি আয়ারল্যান্ড চলে গেছে। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও পরে বুঝলাম কি করবে বেচারা আগামি মাসে ভিসা শেয হয়ে যাবে।কিছু করতে পারে নি। না ল্যাঙ্গুয়েজ কোরস না কোথাও এডমিশন। তাই উপায় না দেখে সময় থাকতে থাকতে চাচার জোরে মানে আয়ারল্যান্ড এ চাচার সাথে যোগাযোগ করে চলে গেছে সেখানে । আসলেই মামা চাচার জোর অনেক বেশি কারজকর।কিছুদিন াগে তানজিরুল নামে একজন চলে গেল মিউনিখে ।কোনরকম তিনমাস পার করে ভিসা বাড়িয়ে চলে গেল মিউনিখ ,কারন হিসবে বলল,একানে জব নেই,বাসা নেই ,আদৌ হবেকিনা তার ও ঠিকনেই।মিউনিখে মামা আছে মামার বিশাল ব্যবসা আছে। কিছুদিন আগে ফেজবুকে স্ট্যাটাজে দেখলাম জব পেয়ে গেছে,নতুন স্কুলে ক্লাস ও করছে। দেখে ভাল লাগল ,যাক ভাল আছে।মামা চাচার কথায় মনে পরে  গেল ২০০৮ এর কথা ঢাকা শেরাটনে ইন্টারনি সেষ করে জব ের জন্য এপ্লাই করেছি। ইন্টার্ভিউ দেবার আগেই রিতিমত রোস্টার করে শিফট এ জব কাজ করছি সবাই মোটামোটি কনফার্ম আমি জয়েন করছি । কিন্তু কিছুদিন পর জানলাম আমার জবটা হচ্ছে না।কারনটা কিছুদিন পর এক বর ভাই এর কাছে জানলাম, একজিকিউটিভ শেফ একজনকে রিকমেন্ট করেছে,সুতরাং তাকে নিতেই হবে হাজার হোক সে শেরাটনের মেইন অফিসের এমপ্লয়ি আর তার খমতা জি এম এর ই পরে।তো কি আর করার অনেক কষ্ট নিয়ে কান্না চাপাদিয়ে বেরিয়ে এসিছিলাম পাচতারা হোটেল থেকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন