বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৪

আমি কখনো হাল ছাড়ি না

মারিয়া শারাপোভা বিশ্বের অন্যতম আলোচিত টেনিস খেলোয়াড়। শারাপোভার জন্ম রাশিয়ায়, ১৯৮৭ সালের ১৯ এপ্রিল। এ যাবৎ তিনি টেনিসের পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লাম জয় করেছেন। ২০০৭ সাল থেকে মারিয়া জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন।
১৭ বছর বয়সে আমি উইম্বলডন জয় করি। এর কয়েক বছরের মধ্যেই মারাত্মকভাবে কাঁধের ইনজুরিতে পড়ে আমার খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আমার সামনে অনেক কারণ ছিল, যার জন্য টেনিস খেলাই ছেড়ে দেওয়ার কথা তুলেছিল অনেকে। ইচ্ছা করলেই তখন খেলা ছেড়ে দিতে পারতাম, কিন্তু হাল না ছেড়ে আবার কোর্টে নামার সাহস করি।
সত্যিকার অর্থে, আমার বেড়ে ওঠা ছিল ছাই থেকে। আবর্জনা থেকে আমার পরিবার মাথা তুলে দাঁড়ায়। আমার শিকড় কোথায়, সেটা আমি জানি। আমার শুরুর সেই কষ্টের দিনগুলো আমি কখনোই ভুলতে পারব না। আমার বাবা-মা দুজনেই বেলারুশ থেকে আসেন। আমি যখন মায়ের পেটে, তখন চেরনোবিল দুর্যোগ ঘটে। বাবা আর মায়ের কাজ চলে যায়। তাঁদের বাকি জীবনটা অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গেছে। আমি তাঁদের মেয়ে। বাবা চার বছর বয়সে আমার হাতে টেনিস র্যাকেট তুলে দেন। বাবাই ছিলেন আমার প্রথম কোচ। স্কুলে পড়াশোনা আর বাড়ির কাজ শেষ করে প্রতিদিন টেনিস অনুশীলনে নামতাম।
আমি কোনো কিছু ধরলে তা ছাড়ি না। আমার বিখ্যাত কোনো বন্ধু ছিল না, যার মাধ্যমে আমি খ্যাতি অর্জন করতে পারি। কিংবা আমি ফ্যাশন মডেল নই, যাকে কোনো লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন বিখ্যাত করেছে। মূল কথা হচ্ছে, টেনিসই আমাকে সব দিয়েছে। ইনজুরিতে থাকার সময় যখন ম্যাগাজিন আর পত্রিকায় আমার ছবি দেখতাম, তখন ঠিক থাকতে পারতাম না। হাসপাতালে বসে কোর্টে দৌড়ানোর শব্দ পেতাম। আর দৌড়াব বলেই টেনিস কোর্টে ফিরে আসি।
আমি সব সময় মাঠে থাকতে চাই। প্রতিদিন। জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবি না। মাঠে থাকাই সব। খেলা শেষে ঘেমে একাকার হয়ে বাড়ি ফিরতে চাই।
আমার বেড়ে ওঠা ছিল রাশিয়ার সোচি শহরে। যুক্তরাষ্ট্রে সবাইকে সোচি নামের বানান করে বলতে হতো। কেউ জানত না সোচি মানচিত্রের কোথায়। এখন আমার জন্য অনেকেই মানচিত্রে সোচি শহরকে চেনে। এটা অনেক আনন্দের। আমি যখন রাশিয়ার পতাকা নিয়ে কোথাও দাঁড়াই, তখন আমার চেয়ে গর্বিত আর কে হয় বলুন?
খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এক টেনিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলাম। যার জন্য মায়ের সঙ্গে প্রায় দুই বছর দেখা হয়নি। তখন আমাদের মুঠোফোন ছিল না, কোনো ই-মেইলও ছিল না। একটা কলম আর এক টুকরা কাগজই ছিল আমার সব। মাকে চিঠি লিখতাম। চিঠি যখন মায়ের কাছে যেত, তখন আমার যে অনুভূতি হতো, তা এখনো শিহরিত করে।
টেনিস খেলার একাডেমিতে অন্য মেয়েরা আমাকে নিয়ে হাসত। বেশি ছোট ছিলাম বলে র্যাগিংয়ের শিকার হতাম। আমাকে টিজ করা হতো। তখন আমি হতাশ হয়ে একা একা কাঁদতাম, কিন্তু আমার লক্ষ্য আমি জানতাম। রেগে দেশে ফিরে গেলে আমি হয়তো আজকের আমি হতাম না। সব সময় আশাবাদী হয়ে থাকলে বিপদে পড়লেও নিজেকে নিজে উদ্ধার করা যায়। কষ্ট করে লেগে থাকতে হয় স্বপ্নের পেছনে।
২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন জেতা ছিল আমার জন্য বিস্ময়। এটা স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু ছিল। কখনোই চিন্তা করিনি মাত্র দুই সপ্তাহে পৃথিবীর সেরা সব টেনিস খেলোয়াড়কে হারিয়ে দেব! ফাইনালে আমি সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে দিই। আমি কতটা দুর্ধর্ষ টেনিস খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিলাম, তা ভাবলে এখনো গায়ে কাঁটা দেয়। কোনো দিকে মন না দিয়ে টেনিস বলেই আঘাতের পর আঘাত করে গিয়েছি। ফলে ফাইনালে আমার হাতেই ছিল সেরার পদকটি।
বেঁচে থাকার জন্য আমি টেনিস বলকে আঘাত করি, পরিশ্রম করি। আমি সব সময় সবার কাছ থেকে শেখার আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি। বাবা আর মায়ের কাছ থেকেই আমি কৌতূহলী হয়ে ওঠার নেশাটি পেয়েছি। আমার কাছে সবচেয়ে বড় আর গুরুত্বের বিষয় হলো, প্রথমে ভালো মানুষ হওয়া, তারপর পেশাদার ক্রীড়াবিদ হতে হবে। এটা সত্যি অনন্য এক চ্যালেঞ্জ।
বেঁচে থাকার জন্য বন্ধুর বিকল্প নেই। আমি সুযোগ পেলেই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে যাই, গান গাই। টেনিস নিয়ে পড়ে থাকলেও পরিবারকে সময় দিই। যখন খুব হতাশায় ভুগি, তখন নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিই। নেইলপলিশ হাতে গ্র্যান্ড স্লামের ট্রফিগুলো তোলার স্মৃতি বারবার মনে করে নিজেকে সাহস দিই। আর হতাশার মাত্রা চরমে উঠলে গলা ছেড়ে গান গাই। প্রতিদিন সকালে আমি গান শুনে বাড়ি থেকে বের হই। আমার দুনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মায়ের হাতের রান্না। মায়ের হাতের বৈচিত্র্যময় রান্নার জন্য বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে আমার। আমি সময় পেলেই বইয়ের পাতায় হারিয়ে যাই। একই বই কয়েকবার পড়ার বাতিক আছে আমার।
আমাকে কেউ কেউ ‘সুগারপোভা’ নামে ডাকে। অনেক ছোটবেলা থেকে আমি চকলেটের ভক্ত। আমার দাঁতে সব সময় চিনি লেগে থাকত। আমি চাইতাম বড় হয়ে আমি চকলেটের দোকান দেব। বড় হয়ে ব্যবসায়ী হব। সত্যি সত্যি টেনিস খেলার ক্যারিয়ার শেষ করে ব্যবসা করতে নামব।
মানুষের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা সে নিজেই। নিজেকে সাফল্যের চূড়ায় দেখতে চাইলে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। যখন যা করো, তা-ই উপভোগ করো। বাড়িতে থাকলে টিভি দেখো, সিনেমা উপভোগ করো। হাসো। কিন্তু যখন কাজ করবে, তখন তাকে উপভোগ করো। নিজের প্রতিভা আর বুদ্ধি দিয়ে কঠিন সব কাজকে আয়ত্তে আনাই সফল ব্যক্তিদের কাজ। নিজের জীবনকে নিজেকেই আকর্ষণীয় করে তুলতে হয়। গণ্ডির মধ্যে না থেকে মাঝেমধ্যে পাগলামি করো। পাগলামি করা শেখো। সামান্য কিছুতেই হাসতে শেখো। হাসিই সবচেয়ে বড় ওষুধ। ঝুঁকি নিতে শেখো। দাঁতে পোকা ধরার ঝুঁকি থাকলেও মাঝেমধ্যে চকলেট খাও। নিজেকে নিয়ে খুশি থাকো!
কিশোর বয়সে যারা টেনিস খেলতে চায়, তাদের জন্য আমার পরামর্শ, লেগে থাকতে হবে। পড়তে হবে, জানতে হবে, খেলতে হবে। সবকিছুর জন্য চাই কঠিন অনুশীলন। ব্যর্থ হলেও লেগে থাকতেই হবে। সফল হলেও লেগে থাকতে হবে।
তথ্যসূত্র: টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকার অবলম্বনে লিখেছেন
জাহিদ হোসাইন খান
http://www.prothom-alo.com/we-are/article/360427/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BE

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

বেসরকারিভাবে হেলিকপ্টার ভাড়া

যানজটের ভোগান্তি এড়াতে ও অন্যদিকে মূল্যবান সময়ও বাচাতে পারেন হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। 
তবে যানজটের এই ভোগান্তি বেশি পোহাতে হয় এ দেশে ব্যবসার কাজে আসা বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের। সে কারণেই এ দেশে আসা ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন ঢাকার বাইরে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন হেলিকপ্টারকে। ঢাকা থেকে দূরবর্তী চট্টগ্রাম, সিলেটের মতো শহরের পাশাপাশি ঢাকার কাছাকাছি নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর কিংবা ময়মনসিংহে কারখানা পরিদর্শন করতে বিদেশি ব্যবসায়ীরা এখন হরহামেশাই হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন।
আর রপ্তানিকারক তথা এ দেশের ব্যবসায়ীরাও বিদেশি ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য অনেক সময়ই শরণাপন্ন হচ্ছেন বেসরকারি হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। জরুরি প্রয়োজনে তাঁরা নিজেরাও হেলিকপ্টারে যাতায়াত করছেন। এসব কারণে দেশে হেলিকপ্টারে যাতায়াতের চাহিদা বাড়ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দেওয়া তথ্য অুনযায়ী, তিন বছর আগেও দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার ভাড়া দেওয়ার কাজ করত মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত তিন বছরে নতুন করে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে হেলিকপ্টার ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো স্কয়ার এয়ার লিমিটেড, সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস, মেঘনা এভিয়েশন, আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশন, ইমপ্রেস এভিয়েশন, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস এবং বিআরবি এয়ার লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় বর্তমানে হেলিকপ্টার আছে ১৫টি। চার বছর আগে তাদের সম্বল ছিল মাত্র পাঁচটি হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের যেকোনো স্থানে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের জন্য প্রতি ঘণ্টায় (ফ্লাইং আওয়ার) ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। কোথাও যাত্রাবিরতি (গ্রাউন্ড ওয়েটিং) করলে প্রতি ঘণ্টায় মাশুল দিতে হয় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। এসব মাশুলের সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করও (মূসক) আরোপ করা হয়।
১৯৯৯ সালে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস। এ খাতে সর্বশেষ সংযোজন ২০১৪ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করা ইমপ্রেস এভিয়েশন।
ইমপ্রেস এভিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখনো হেলিকপ্টার ব্যবসায়িকভাবে ভাড়া দেওয়ার চেয়ে নিজেদের প্রয়োজনেই বেশি ব্যবহার করছি। তবে দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সেবাভিত্তিক শিল্প হিসেবে হেলিকপ্টার সেবা গড়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’ গণমাধ্যমের জরুরি সংবাদ সংগ্রহ, নাটক কিংবা সিনেমার শুটিং, রাজনৈতিক নেতাদের সফরের কাজেও এখন হেলিকপ্টারের ব্যবহার বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তাদের যাত্রীর একটি বড় অংশই এ দেশে আসা তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতারা।
বিষয়টি স্বীকার করে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যানজটের কারণে সড়কপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা একটু দূরের কোনো শহরে যেতে এখন অনেক ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতেই অনেক সময় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা লাগে। আবার অনেক জায়গায় রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। এত সময় ব্যয় করে খারাপ রাস্তা দিয়ে একজন বিদেশি কেন ওই সব জায়গায় যাবেন? সময় বাঁচাতে তাই অনেক সময় বাধ্য হয়েই আমাদের হেলিকপ্টার ভাড়া করতে হয়।’
একটি হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দেশের অভ্যন্তরে বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলোর ব্যবসা ও কলকারখানার সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এসব শিল্পগোষ্ঠীর মালিকেরা তাঁদের মালিকানাধীন শিল্পগুলো দেখভাল করার জন্য ও জরুরি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন।
স্কয়ার এয়ারের পরিচালক (অপারেশনস) ও প্রধান পাইলট সৈয়দ সাখাওয়াত কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্কয়ার হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীদের আনার জন্যই আমরা ২০১০ সালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে হেলিকপ্টার সার্ভিসটির শুরু করি। তবে এই সেবা ছাড়াও দেশের যেকোনো স্থানে যাত্রী পরিবহন করি আমরা। এর পাশাপাশি স্কয়ার গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।’ বর্তমানে স্কয়ারের মালিকানায় দুটি হেলিকপ্টার আছে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, জ্বালানি তেল, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, পাইলটসহ কারিগরি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বেতনসহ মাসে একটি হেলিকপ্টারের পেছনে অন্তত ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। পাশাপাশি হেলিকপ্টার রাখার জন্যও (হ্যাঙ্গার) অনেক বড় জায়গার প্রয়োজন হয়। প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই মূলত হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে কাজ করেন। উচ্চ প্রশিক্ষিত হওয়ায় তাঁদের পারিশ্রমিকও বেশি।
পরিচালনার এই উচ্চ ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে গত ১২ বছরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হেলিকপ্টার ব্যবসাও গুটিয়ে নিয়েছে। ২০০০ সালে অ্যারো টেকনোলজিস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার সেবা চালু করেছিল। গ্রাহক আকৃষ্ট করতে না পেরে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি সেবাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
এ ছাড়া বেস্ট এয়ার ২০০২ সালে হেলিকপ্টার সেবা চালু করে কয়েক মাস পরেই বন্ধ করে দেয়। নিটোল গ্রুপের নিটোল এভিয়েশন সার্ভিস লিমিটেড বেশ আয়োজন করে ব্যবসা চালু করলেও এখন নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
অন্য চিত্রও আছে। ২০০৬ সালে চালু হওয়া বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রাহক না থাকায় মাঝে কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে এখন পুনরায় চালু হয়েছে, যাত্রীসেবাও দিচ্ছে।
হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার চাহিদা বাড়লেও সামগ্রিকভাবে এই ব্যবসা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না মালিক ও পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো। তারা বলছেন, এখনো পরিচালন ব্যয় মিটিয়ে মুনাফা করতে পারছেন না তাঁরা। সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু–একটি বাদে বেশির ভাগই মাসে ব্রেক ইভেনে (না লাভ না লোকসান অবস্থা) যেতে পারছে না। বড় অঙ্কের বিনিয়োগের কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক হতে আরও সময় লাগবে বলে তাঁরা মনে করেন।
ব্যবহার
স্থানীয় রপ্তানিকারক–ব্যবসায়ীরা নিজেদের জরুরি প্রয়োজনে ও বিদেশি ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্যও অনেক সময় হেলিকপ্টার ভাড়া করেন
গণমাধ্যমের জরুরি সংবাদ সংগ্রহ, নাটক কিংবা সিনেমার শুটিং, রাজনৈতিক নেতাদের সফরের কাজেও হেলিকপ্টার ভাড়া হয়
হেলিকপ্টারের মালিকেরা নিজেদের ব্যবসায়িক প্রয়োজনেও এটি ব্যবহার করে থাকেন
যাত্রা শুরু
১৯৯৯ সালে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস
সর্বশেষ সংযোজন
এ খাতে সর্বশেষ সংযোজন ২০১৪ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করা ইমপ্রেস এভিয়েশন
ভাড়া
ঘণ্টাপ্রতি ভাড়া ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট যোগ হয় 

source-http://www.prothom-alo.com/economy/article/359389/%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%9B%E0%A7%87

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৪

‘বাহ, লেখাপড়া না জেনেই এত বড় ব্যবসা সামলাচ্ছেন না জানি লেখাপড়া বেশী জানলে কি করতেন!’

 তৎকালীন লন্ডনের একটি চার্চে বেশ কড়া নিয়ম ছিলো। তারা সুশিক্ষিত না হলে কোনও পদেই চাকুরীর জন্য কাউকে নিয়োগ দিত না। এহেন অবস্থায় দারিদ্রের নিপীড়নের স্বীকার হয়ে ‘আলফ্রেড ডানহিল’ সেই চার্চে এলো কোনও রকমে কিছু করে খাবারের সুযোগের জন্যে। বুড়ো পাদ্রী ভীষণ দয়ালু আর ভাবলেন দরিদ্র এই লোকটিকে সাহায্য করা উনার নৈতিক দায়িত্ব। তিনি চার্চের নিয়মের বিরুদ্বে গিয়ে এই লোকটিকে সাফাই কর্মী পদে নিয়োগ দিলেন। ভাবলেন এই ক্ষুদ্র পদের জন্যে এতো শিক্ষার দরকার নেই। ডানহিলকে নিয়োগ দিলেও তিনি তাঁকে লেখাপড়া করে যাবার নির্দেশ দিলেন যাতে চার্চ পরবর্তীতে কোনও আপত্তি না করতে পারে।
‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর বেশ চলে যাচ্ছিলো। এমন সময় হঠাত একদিন সেই বুড়ো পাদ্রী মারা গেলেন আর তার জায়গায় অভিষেক হলো এক নতুন তরুন পাদ্রীর। নতুন পাদ্রী কিছুদিন পরেই ‘আলফ্রেড ডানহিল’ – কে ডেকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিলেন, হয় আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে শিক্ষা সনদ জমা করতে হবে নতুবা চাকরি থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর বুঝতে বাকি থাকলো না এবার তার পাঠ চুকেছে। মন খারাপ করে কি করবে, কি ভাবে চলবে, এসব ভেবে ব্যস্ততম সড়কে (বন্ড ষ্ট্রীট) পায়চারী করছিলো। হঠাত তার সিগারেট খাবার প্রবল ইচ্ছা হলো। মনে হলো যেন মাথায় ধোঁয়া না ঢুকালে কিছুই ভেবে কুল করতে পারবে না। দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে এবার সিগারেটের খোঁজে ছুটল ‘আলফ্রেড ডানহিল’। সেই সড়কের শেষ প্রান্তে একটি ছোট গলির খুব ভিতরে গিয়ে সে একটি সিগারেটের দোকান খুঁজে পেলো। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আবার সেই দুশ্চিন্তার শুরু। হঠাত তার মাথায় এলো এই যে এত বড় ব্যস্ততম সড়ক সেখানে একটাও সিগারেটের দোকান নেই। তার মত কত লোকের সিগারেট খেতে মন চাইলে কত দূর অবধি হেঁটে যেতে হয়। তাই এইখানেই একটা সিগারেটের দোকান দিতে পারলে কেমন হয়?
যে ভাবা সেই কাজ পরদিনই চাকরি ছেড়ে নিজের সমস্ত সঞ্চয়কে নিয়ে ছোট্ট, খুব ছোট্ট একটি সিগারেটের দোকান দিলো সেই ব্যস্ততম সড়ক- বন্ড স্ট্রীটে। অল্প কছুদিনের মধ্যেই অভাবনীয় সাড়া পেতে লাগলো ‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর সিগারেটের দোকান। এবার সে ব্যবসাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলো, লক্ষ্য করলো তার দোকানের বেশ কিছু ক্রেতা আসেন সড়কের উল্টোপাশ থেকে। কিছুদিন পরেই ক্রেতাদের সুবিধা বিচার করে ‘আলফ্রেড ডানহিল’ সড়কের উল্টোপাশে আরেকটি দোকান খুলে বসলো। এভাবে সেই দুটি দোকান অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চারটিতে পরিনত হলো এবং পরবর্তী তিন বছরে সেই চারটি দোকান ষোলোটিতে পরিনত হলো।
এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কার গল্প বলছিলাম। লাল সাদা প্যাকেটের সেই ডানহিল সিগারেটের গল্প। যাইহোক, এর পর ‘আলফ্রেড ডানহিল কোম্পানী’ হয়ে উঠলো ইংল্যান্ডের সব চেয়ে বড় তামাকের ব্যবসায়ী। সর্ব প্রথম মেশিন রোল সিগারেট এনে বাজারে হৈ চৈ ফেলে দিলেন এর পর পরই তিনি নিজের ব্র্যান্ড নিয়ে এলেন বাজারে - ‘ডানহিল’ সিগারেট। পাঁচ বছরে হয়ে গেলেন কোটিপতি। নিজের ফ্যাক্টরিতে তামাকের সাপ্লাই পর্যাপ্ত ও বাধাহীন রাখার জন্যে তিনি আমেরিকার বেশ কিছু তামাক চাষীর সাথে বার্ষিক আমদানী চুক্তি করলেন।
ক্রয় চুক্তি পাকাপাকি করার জন্যে ডানহিল আমেরিকা চলে গেলেন এবং তার ক্রয় চুক্তি অনুষ্ঠান হয়ে উঠলো বিশাল মিডিয়া সার্কাস। সেই অনুষ্ঠানে সেনেটর থেকে গভর্নর পর্যন্ত সবাই উপস্থিত ছিলেন। মজার ঘটনা হলো, সত্যি সত্যি ক্রয় চুক্তি নিষ্পন্ন হবার পর এলো স্বাক্ষর করার পালা। স্বাক্ষর এর স্থানে ডানহিল দিলো বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ। লেখাপড়া তো করেন নি তাই এছাড়া তার উপায় ছিলোনা। এতে গভর্নর তাঁকে ছোটো করার সুযোগ পেয়ে বললেন ‘বাহ, লেখাপড়া না জেনেই এত বড় ব্যবসা সামলাচ্ছেন না জানি লেখাপড়া বেশী জানলে কি করতেন!’
ডানহিল শুধু ছোট্ট উত্তর করলেন, ‘লেখাপড়া বেশী জানলে আমি চার্চের ফ্লোরই পরিষ্কার করতাম’।

collected from-https://www.facebook.com/groups/uddokta/permalink/768557863224322/

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

বিমান বাহিনী জাদুঘর

http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/333339.html

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিমানসহ পাখা গুটিয়ে অলস পড়ে থাকা বিমান নিয়ে নতুন করে চালু হয়েছে বিমান বাহিনী জাদুঘর।    
 
রাজধানীর তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর রানওয়ের পশ্চিমে আইডিবি ভবনের বিপরীতে জাদুঘরটিতে মোট ১৯টি বিমান, দু’টি হেলিকপ্টার এবং বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত তিনটি রাডার দর্শকদের দেখার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
 
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত হান্টার বিমানসহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন নিয়ে বিমান বাহিনীর এই জাদুঘরের উদ্বোধন হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর।
 
বিমান বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য, এর সাফল্য ও ক্রমবিকাশকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ জাদুঘরের গোড়াপত্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
 
এবার ঈদ এবং দুর্গাপূজায় রাজধানীবাসীর বিনোদনের অন্যতম খোরাক যুগিয়েছে বিমানবাহিনী জাদুঘর।
 
জাদুঘর উদ্বোধন করেন বিমান বাহিনীপ্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ এনামুল বারী। 
 
নির্মাণকাজের কিছু অংশ এখনও বাকি থাকলেও প্রতিদিনই দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে এই জাদুঘরে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার দর্শনার্থী আসছেন এসব বিমান ও প্রদর্শণ সামগ্রী দেখতে।
 
বিমানের টিকিট ৩০ টাকা
দেশের প্রথম পরিবহন বিমান ‘বলাকা’ও রাখা হয়েছে প্রদর্শনের জন্য। এতে ৩০ টাকা দিয়ে ওঠারও সুযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ। অকেজো বিমানগুলো পুরোনো আদলে ফিরিয়ে এনে এগুলোর ভেতর এয়ারকন্ডিশনার যুক্ত করা হয়েছে। 
 
এ বিমানে ওঠার জন্য লাইন ধরে টিকিট সংগ্রহ করছেন দর্শনার্থীরা। 
 
রাশিয়ার তৈরি এই বিমানটি ১৯৫৮ সালে প্রথম ওড়ানো হয়। ১৯৭৩ সালে বিমান বাহিনীতে সংযুক্ত করা হয়। 
 
বিমান বাহিনীতে ‘বলাকা’ নামে পরিচিত এই বিমানটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করতেন। ডিভিডি ও ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বিমানবাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম দেখানো হচ্ছে বলাকার মধ্যে। একটি বিশ্রামকক্ষ ফিরিয়ে আনা হয়েছে আগের মতো করে।
 
আরো যা আছে
জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হবে ঐতিহাসিক ড্যাকোটা বিমান। এটা নিয়ে আসা হবে জাদুঘরে। গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে উপহার দেয় ভারত। 
 
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যাত্রাকালেও এর বিশেষ ভূমিকা ছিল।
 
এছাড়াও জাদুঘরে স্থান পেয়েছে এ্যালিউট হেলিকপ্টার। যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনানিবাসে পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানের ওপর আঘাত হানা হয়েছিল। এই হেলিকপ্টারটি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়।
 
বিমান বাহিনীর যাত্রী পরিবহন প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত কানাডায় তৈরি একটি 'অটার' বিমানও রয়েছে। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এটিও কর্মক্ষম ছিল। 
 
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত একটি এফ-৮৬ যুদ্ধবিমানও স্থান পেয়েছে জাদুঘরে। 
 
মিত্রবাহিনীর ব্যবহৃত তিনটি যুদ্ধবিমান হান্টার, মিগ-২১ এফএল এবং ন্যাটও জাদুঘরে ঠাঁই পেয়েছে।
  
বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত জার্মানির তৈরি গ্লাইডার, চীনের তৈরি এফ টি-৫ মডেলের বিমান, সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি এমআই-৮ হেলিকপ্টার এবং রাশিয়ার তৈরি এন-২৪ এয়ার ক্র্যাফট উন্মুক্ত রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। 
 
প্রতিটি বিমানের কাছে সুদৃশ্য গাছ বানিয়ে পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে। 
 
দর্শনার্থীদের ভিড়
প্রতিদিন দর্শনার্থীর সংখ্যা গড়ে এক হাজার থাকলেও শুক্র ও শনিবার সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসেন জাদুঘরে। এক শুক্রবার বিকালে জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, সব বয়সের মানুষ এসেছেন দেখার কৌতূহল মেটাতে। 
 
বিমান, হেলিকপ্টার ও রাডারের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীর শহীদদের স্মরণ করতে তৈরি করা হয়েছে একটি শহীদ কর্ণার।
 
একটি ডিজিটাল ম্যাপও তৈরি করা হয়েছে।
 
বিমান বাহিনীর নানা রকম দ্রব্যাদি নিয়ে রয়েছে ‘নীলাদ্রি’ নামে একটি স্যুভেনির। 
 
শিশুদের মনোরঞ্জন ও বিনোদনের জন্য চিলড্রেন্স পার্ক, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, জিরাফ, হরিণ, শিম্পাঞ্জিসহ নানা রকম পশু-পাখির প্রতিরূপ।  
 
বিমান ছাড়াও জাদুঘরের উত্তর দিকে সুদৃশ্য লেক এবং দক্ষিণে মনোরম সবুজ বৃক্ষসারি ও বনানী যে কারোরই মন কাড়বে। 
 
পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন ধানমণ্ডির আকরামুল ইসলাম। পাঁচ বছরের ছেলে নীরবের বায়না ধরে পুরো পরিবার নিয়ে ওঠেন বলাকায়।
 
আকরামুল বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রজন্মের শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর অবদান জানার পাশাপাশি বিমানে ওঠার সুযোগ সত্যিই মজার ব্যাপার।
 
পরিকল্পনা
বলাকার মতো করে আরো ২/১টিতে দর্শনার্থী ওঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। 
 
বিমান বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত পোশাক, র‌্যাংক, ক্যাপ-ব্যাজ প্রদর্শনের বিশেষ গ্যালারি স্থাপন হবে। 
 
তৈরি করা হবে মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি। মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীর অবদানকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি নির্মিত হবে।
 
সময়সূচি
রোববার রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য জাদুঘরটি বন্ধ থাকে। এছাড়া সোম থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে জাদুঘর। 
 
এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাদুঘরটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
 
প্রবেশ ফটকের ঠিকাদার মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান ঝণ্টু বলেন, বিমান একটা স্বপ্ন। এখানে তা ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। বিমান বাহিনীর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা দর্শনার্থীদের নিরাপদ বিনোদন দিচ্ছে বিমান বাহিনীর এই জাদুঘর। 
 
প্রধান ফটকে প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/333339.html#sthash.VMe27ik7.dpuf

বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৪

প্রবাসে পরিভ্রমন ৯- ক্যাবল কারে চড়ে জার্মানীর দীর্ঘতম ও পৃথিবীর প্রথম ক্যাবল লাইন পরিভ্রমন

জার্মান জীবনের প্রথম ৯টি মাস যে শহতে কেটেছিল ব্যাস্ততা ও বাস্তবতার কারনে সে শহরটি ও ভালকরে দেখা হয়নি। সুইজারল্যান্ডের সীমান্তবরতী  ফ্রাইবুর্গ শহরটি ট্যুরিস্টদের সমাগমে মুখর থাকে সারা বছরই । বলা হয়ে থাকে এ শহরে নাকি সবচেয়ে বেশি সময়ে সুর্যের আলো থাকে, শীতকালে যেহেতু প্রচুর ঠান্ডা ও তুযার পরে তাই সুর্যের আলো একটি গুরুত্বপুর্ব বিষয়। বছর খানেকের বেশি হয়ে গেছে সে শহরটি ছেড়ে এসেছি, কিন্তু পুরুনো বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা সাক্ষাতের জন্য মাঝেই মাঝেই সে শহরে যাওয়া হয়। কিন্তু ঘুরে দেখা হয় তেমন একটা। নতুন সেমিস্টারে এডমিশন নিয়ে পুরুনো বন্ধুরা ইত্যিমধে সে শহর ছেড়ে অন্য শহরে মুভ করার অদূর ভবি্য্যরে সে শহরে যাওয়া হবে না, সেই ভেবে এক বদ্ধুকে যে কিনা কয়েকদিনের মধ্যে এ শহর ছেড়ে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দুরের আরেক শহরে চলে যাচ্চে তাকে প্রস্তাব করলাম এ শহরের কিছু আকর্যণীয় স্থানে ঘুরে দেখার । আর সেই প্ল্যান থেকেই Schauinslandbahn শাওইন্যাসবান এ চড়ার প্যান। ইতিহাস বলে এটি পৃথীবির প্রথম মিউচুয়াল কেবল অপারেশনের কেবল কার। আর জার্মানীর দীর্ঘতম ক্যাবল কার লাইন।

যেটি জার্মানির Black Forest এলাকায়  Baden-Wurttemberg রাজ্যের অবস্তিত। ৩.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ক্যাবল লাইনে করে ২০ মিনিটে প্রায় ১২২০ মিটার উপরে Schauinsland পাহাড়ের চুড়ায় পৌছা যায় এ কারে করে। 17 July 1930 সালে চালুর পরে  1987/88 সালের পর রিকন্টাকশন করে ৪ জনের বেশি লোকজন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জার্মানির প্রথম অটোমেটিক কেবলকার এ রুপান্তর করা হয়।

1 January 2009 সাল থেকে ১০০% গ্রিন এনার্জি ব্যবহার করে এটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
অনেকতো কথা হল এবার চলুন ছবিতে ঘুরে আসি Schauinsland আর ব্ল্যাক ফরেস্টের প্রাকৃতিক সোন্দর্যে।

আমাদের যাত্রা শুরু হচ্ছে ফ্রাইবুর্গ শহর থেকে। আমরা প্রথমে ট্রামে তার পর বাসে করা আমাদের নিদ্রিস্ট গন্ত্যবের যাব। এইতো দেখা যাচ্ছে আমাদের কাঙ্খিত ট্রাম।


আমি উঠছি উঠে দেখি আপনাদের জন্য যায়গা আছে কিনা?


হ্যা এখনো অনেকগুলো ছিট ফাকা আছে তাই তাড়াতাড়ি উঠে ফাকা সিটে নিজের দখল নিন। তা না হলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।

মাত্র মিনিট দশেকের পথ আর রাস্তার দুপাশের সবুজের সমারহ চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ।

নিজেদের মাঝে টুকটাক গল্প আর রাস্তার দুপাশের ব্ল্যাক ফরেস্টের অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখনযে আমাদের ট্রেনের শেষ গন্ত্যবে চলে এসেছি টেরই পাওয়া যায় না।

এবার ট্রেন থেকে নেমে বাসে উঠতে হবে। এইতো আমাদের বাস দেখা যাচ্ছে। আর ২ মিনিট পরেই ছাড়বে তাই তাড়াতাড়ি করে বাসে উঠে পড়ুন।


উচু নিচু আর আকা বাকা পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাস। মিনিট ১৫ এর মধ্যেই আমরা আমাদের গন্ত্যবে চলে এসেছি। এবার নেমে পড়ুন কারন এটাই বাসের শেষ স্টপেজ না তাই তাড়াতাড়ি নেমে পড়ুন।

এইতো আমাদেরকে স্বাগতম জানাছে

সবাই আসছেতো নাকি কেউ বাসে রয়ে গেছে। সবাই থাকলে আর দেরি না করে চলুন ঢুকে পরি।

দেয়ালে এলাকার ম্যাপ আর কিছু ইনফো দেয়া আছে, সেগুলো দেখতে দেখতেই সামনে এগূনো যাক।

এইতো সামনে টিকেত কাউন্টার দেখা যাচ্ছে।পাশেই টিকেটের দাম সহ লিস্ট । অনেকেই ক্যাবেল কারে করে শুধু উপরে গিয়ে তার পরে বাইকে করে বা পায়ে হেটে নিচে নাম। ৩.৫ কিলোমিটার পথা তাও পাহারী পথ তার উপরে আমরা সংখ্যায় অনেকে তাই আমরা যাওয়া ও আসার টিকেট কাটি।

১২ ইউরো লাগবে টিকেটের জন্য । মজার ব্যাপার হল আমরা যে ট্রাম ও ট্রেনে এসেছি সেই কোম্পানিই এই ক্যাবেল কার সার্ভিস প্রোভাইড করে তাই আমরা যেহেতু ট্রামের টিকেট কেটে এসেছি তাই আমাদের ডিসকাউন্ট প্রাইজ ৯ ইউরো।

এবার তাহলে সামনে যাওয়া যাক

এইতো এন্ট্রেন্স দেখা যাচ্ছে চলুন তাহলে ভেতরে ঢুকা যাক


টিকেটযে কাটলাম এইটা আবার স্ক্যান করে ভেতরে ঢুকতে হবে


আমাদের ফ্রেন্ড আগে যাচ্ছে সে তার টিকেট স্ক্যান করে ঢুকতেছে

সো আমরা ঢুকে পরলাম ক্যাবল কারে

এই পথে আমাদের ক্যাবল কার বেরিযে যাবে

যাত্রা হল শুরু


আমরা ইতিমধ্যে কিছু দূর এসে গেছি। এই যে ছোট ঘরটা দেখা যাচ্ছে সেখান থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হছেছিল। 

এবার আর কোন কথা হবে না চুপচাপ ব্যাক ফরেস্টের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার পালা
 চার পাশের প্রকৃতি
 নিচের পাহারের মাঝখানে আকাকাপা পথ

 ২ পাশের ২ লাইন ধরে একের পর এক ক্যাবল কার চলে যাচ্ছে




 নিচের দৃশ্য










 চলতে চলতে প্রায় ২০ মিনিট সময় পেরিয়ে আমরা আমাদের গন্ত্যবের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এখানে একটা রেস্ট্রুরেন্ট ও  আছে। আর ব্ল্যাক ফরেস্টের ভেতরে কোথায় কোথায় ট্র্যাকিং এ যেতে পারবেন তারও প্ল্যান দেয়া আছে এখান।

 আমার এনার্জি নাই তাই আমি এই রেস্ট্রুরেন্টে একটু সময় থেকে আবার ব্যাক করব । ততক্ষনে আপনারা আশে পাশ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। মনে রাখবেন লাস্ট ক্যাবল কার ৬ টায় তাই বিকাল ৬ টার আগে ফেরত আসবেন আশা করি । তা না হলে পায়ে হেটে নিচে নামতে হবে কিন্তু

এইতো নিচে ফ্রাইবুর্গ শহর ও তার আশে পাশের এলাকা দেখা যাচ্ছে


এবার তাহলে ফেরার পালা । যে পথে এসেছি সে পথেই ফেরত যাব। আসার সময় ছবি তুলতে তুলতে চারপাশটা ক্যামেরার চোখে দেখেছি এবার না আর কোন ছবি নয় শুধু প্রকৃতিকে নিজের চোখে দেখব।  আর আপনাদের জন্য ইউটিউভ থেকে দুটো ভিডিও দিচ্ছি যেখানে চারপাশের প্রকৃতিকে সুন্দর করে তুলে আনা হয়েছে । একটা ভিডিও সামারে আর একটা উইন্টারের।


এবার তাহলে দেখুন উইন্টারে তুযারের মাঝে ব্ল্যাক ফরেস্টের সুন্দর্য্য

ইতিমধ্য আমরা চলে এসেছি। এবার বিদায় নেবার পালা। আবার দেখা হবে আগামী কোন গন্ত্যবে । সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ


সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

জার্মানদের সাথে একটি ফুটবল ম্যাচ দেখা


চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪। সারা বিশ্বে এ নিয়ে চলছে উন্মাদনা আর তার ব্যাতিক্রম ও নেই জার্মানিতে । পড়াশুনা আর কাজের ফাকে একটু আকটু খেলা দেখা হলেও জার্মানির খেলা দেখা মিস হয় না । আর কলিগদের একেক জনের ছুটির দিন একেক দিন হওয়াতে সবাই এক সাথে বসে খেলা দেখাও হয় না। কিন্তু হঠাত করে গত ২৬ জুন জার্মান - ইউএস এ এর খেলার দিন সৌভাগ্যক্রমে ২ একজন ছাড়া আমাদের সবারই ছুটি থাকায় খেলাটা সবাই একসাথে দেখার একটা প্ল্যান হয়ে গেল। আর তাই বাসায় বসে টিভিতে দেখার চেয়ে একসাথে বড় স্ক্রিনে অনেকের সাথে দেখার মজাই আলাদা তাইতো প্ল্যান হল ২০ কিলোমিটার দূরে খেলা বড় স্ক্রিনে খেলা দেখতে যাব। খেলা শুরু হবে বিকাল ৬টায় কিন্তু পরে গেলে জায়গা পাওয়া যাবে না তাই আমদের প্ল্যান আমরা বিকাল ৪.৩০ এর মধ্যেই সেখানে পৌছতে হবে। তাই আমাদের যাত্রা শুরু হবে বিকাল ৪ টায়। যেহেতু যেতে ১৫ মিনিটের বেশি লাগবে না আর রাস্তা থেকে আমাদের বসকে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে কারন খেলার পর তার নাকি গাড়ি চালানোর মুড নাও থাকতে পারে। তাই ৪ টাই বেস্ট টাইম। সব মিলিয়ে আমরা যাত্রি ৭ জন ২ টা গাড়িতে আরামসে জায়গা হয়ে যাবে।  পরিকল্পনা মতই হল সবকিছু। ৪.৩০ এর পৌছে গেলাম আমাদের নির্ধারিত গন্ত্যব্য স্থল Villa Junghans Schramberg , এটি একটা হোটেল এন্ড রেস্ট্রুরেন্ট , তারা বড় স্ক্রিনে খেলা দেখার আয়োজক। শুরুতেই কয়েকটি ধাপের সিড়ি পেডিয়ে পাহাড়ের উপর উঠেগেলাম ।

এখানে দেখি সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে। বুঝতে পারলাম টিকেট কাটতে হবে।



২ ইউরো দিয়ে টিকেট কেটে সামনে এগুতেই সারি সারি চেয়ার সাজানো । প্রচন্ড রোদ থাকা স্বত্বেও সামনের দিকের চেয়ারগুলু ইতিমধ্যে ফিলাপ হয়ে গেছে। 


টিকেট কেটে ঢুকার পরেই তার পাশে দেখতে পেলাম আর একটা কাউন্টার , যেখান থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে টোকেন কিনে নিতে হবে খেলা দেখার সময় কিছু খেতে চাইলে বা ড্রিঙ্কস কেনার জন্য এই ব্যবস্তা। ১০ বা ২০ ইউরো এর টোকেন। বুদ্ধিটা ভালই। আগ্রিম ১০/২০ ইউরো এর টোকেন কিনে নিয়ে তার পর  যাই কেনের তার সম পরিমান টাকা তাঁরা  এই টোকেন থেকে কেটে নেবে। আপনি যদি আপনার কেনা টোকেনের ১০/২০ ইউরো খরচ করতে না পারেন তা হলে প্রব্লেম নাই। যাবার সময় আপনার বাকি টাকা ফেরত দেবে। 


ডিঙ্কস আর খাবারের জায়গা আলাদা, এটা হচ্ছে ড্রিঙ্কস স্টেশন। দাম একটু বেশি, মিনারেল ওয়াটার, কোলা থেকে শুরু করে বিয়ার, ওয়াইন সবই আছে 




ফুটবল খেলা দেখা হবে কিন্তু সেখানে আড্ডা আর ড্রিঙ্কসের ব্যবস্তা থাকবে না তাতো হতে পারে না। তাইতো সারি সারি চেয়ারে পরে বড় বড় ছাতার নিচে গোল টেবিলের চারআসে চেয়ার সাজানো আছে আড্ডা আর খাবার দাবারের জন্য।


খেলার শুরু হতে এখনও ঘন্টা খানেকের মত সময় রয়েছে আর এরই মাঝে আড্ডা আর হাল্কা নাস্তা চলছে


খেলা শুরু হতে আর কিছুটা টাইম আছে তার আগে ফটোসেশন না হলে কি হয়। আর যাই হোক সবাই যার যার ফেসবুকে স্ট্যাটাস আর গুড উইশতো দিতে হবে জার্মান টিমকে।












অবশেষে খেলা শুরু হচ্ছে...জার্মান জাতীয় সংগীত শুরুর সাথে সাথেই সবাই দাঁড়িয়ে গেল আর সাথে সাথে গাইতে শুরু করল , অনেকে আবার কাধে কাধ রেখে গাইছে.।।

খেলা চলছে হাফ টাইমের কাছাকাছি কিন্তু কোন গোল হয় নি এখনো যখনি কোন গোলের চান্স মিস হয় তখনই চারপাস থেকে আফসোসের উচ্চারন আসতে থাকে,আর সাথে সাথে হাত তালিতো আছেই,কিছু কিছু পাব্লিক আবার উঠে দাঁড়িয়েও যাচ্চে উত্তেজনায়। 



হাফ টাইম পেরিয়ে ৫৪ মিনিটে শেষ এখনো কোন গোল হল না, ৫৪ মিনিটে মুলার যখন অবশেষে সেই প্রতাশিত গোলটি করল তার পরের কিছু মুহুর্ত




খেলার বাকি সময়টা কেটে গেল গোলের সম্ভবনা তৈরির মাধ্যমে ।
প্রচন্ড রোদের মধ্যে খেলা দেখতে দেখতে মাথা গরম হয়ে গেছিল তাই এই ব্যবস্তা



 আর দেখতে দেখতে ৯০ মিনিটও শেষ হয়ে গেল। আর জার্মানও জিতল ১-০ গোলে।  এবার ফেরার পালা।।তাই আস্তে আস্তে বেরিয়ে যাচ্ছে সবাই



জার্মানিতে রাস্তায় সাধারনত বিনা প্রয়োজনে কেউ হর্ন বাজায় না । আর এটা অভদ্রততা ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ । কিন্তু খেলা শেষে এই নিয়মটা সিথীল হয়ে যায় । সবাই হর্ন বাজিয়ে আর পতাকা উড়িয়ে আনন্দ করতে করতে বাসায় ফিরছে। সারা রাস্তা জুড়েই এমন চিত্র দেখা যায় । অনেকেই বলে যে জার্মানিতে এক সাথে হর্ন বাজানো আর আনন্দ করে ফেরার এই চিত্র নাকি চার বছর পর পর শুধু বিশ্বকাপের সময় দেখা যায়।