তৎকালীন লন্ডনের একটি চার্চে বেশ কড়া নিয়ম ছিলো। তারা সুশিক্ষিত না হলে
কোনও পদেই চাকুরীর জন্য কাউকে নিয়োগ দিত না। এহেন অবস্থায় দারিদ্রের
নিপীড়নের স্বীকার হয়ে ‘আলফ্রেড ডানহিল’ সেই চার্চে এলো কোনও রকমে কিছু করে
খাবারের সুযোগের জন্যে। বুড়ো পাদ্রী ভীষণ দয়ালু আর ভাবলেন দরিদ্র এই
লোকটিকে সাহায্য করা উনার নৈতিক দায়িত্ব। তিনি চার্চের নিয়মের বিরুদ্বে
গিয়ে এই লোকটিকে সাফাই কর্মী পদে নিয়োগ দিলেন। ভাবলেন এই ক্ষুদ্র পদের
জন্যে এতো শিক্ষার দরকার নেই। ডানহিলকে নিয়োগ দিলেও তিনি তাঁকে লেখাপড়া করে
যাবার নির্দেশ দিলেন যাতে চার্চ পরবর্তীতে কোনও আপত্তি না করতে পারে।
‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর বেশ চলে যাচ্ছিলো। এমন সময় হঠাত একদিন সেই বুড়ো পাদ্রী মারা গেলেন আর তার জায়গায় অভিষেক হলো এক নতুন তরুন পাদ্রীর। নতুন পাদ্রী কিছুদিন পরেই ‘আলফ্রেড ডানহিল’ – কে ডেকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিলেন, হয় আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে শিক্ষা সনদ জমা করতে হবে নতুবা চাকরি থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর বুঝতে বাকি থাকলো না এবার তার পাঠ চুকেছে। মন খারাপ করে কি করবে, কি ভাবে চলবে, এসব ভেবে ব্যস্ততম সড়কে (বন্ড ষ্ট্রীট) পায়চারী করছিলো। হঠাত তার সিগারেট খাবার প্রবল ইচ্ছা হলো। মনে হলো যেন মাথায় ধোঁয়া না ঢুকালে কিছুই ভেবে কুল করতে পারবে না। দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে এবার সিগারেটের খোঁজে ছুটল ‘আলফ্রেড ডানহিল’। সেই সড়কের শেষ প্রান্তে একটি ছোট গলির খুব ভিতরে গিয়ে সে একটি সিগারেটের দোকান খুঁজে পেলো। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আবার সেই দুশ্চিন্তার শুরু। হঠাত তার মাথায় এলো এই যে এত বড় ব্যস্ততম সড়ক সেখানে একটাও সিগারেটের দোকান নেই। তার মত কত লোকের সিগারেট খেতে মন চাইলে কত দূর অবধি হেঁটে যেতে হয়। তাই এইখানেই একটা সিগারেটের দোকান দিতে পারলে কেমন হয়?
যে ভাবা সেই কাজ পরদিনই চাকরি ছেড়ে নিজের সমস্ত সঞ্চয়কে নিয়ে ছোট্ট, খুব ছোট্ট একটি সিগারেটের দোকান দিলো সেই ব্যস্ততম সড়ক- বন্ড স্ট্রীটে। অল্প কছুদিনের মধ্যেই অভাবনীয় সাড়া পেতে লাগলো ‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর সিগারেটের দোকান। এবার সে ব্যবসাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলো, লক্ষ্য করলো তার দোকানের বেশ কিছু ক্রেতা আসেন সড়কের উল্টোপাশ থেকে। কিছুদিন পরেই ক্রেতাদের সুবিধা বিচার করে ‘আলফ্রেড ডানহিল’ সড়কের উল্টোপাশে আরেকটি দোকান খুলে বসলো। এভাবে সেই দুটি দোকান অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চারটিতে পরিনত হলো এবং পরবর্তী তিন বছরে সেই চারটি দোকান ষোলোটিতে পরিনত হলো।
এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কার গল্প বলছিলাম। লাল সাদা প্যাকেটের সেই ডানহিল সিগারেটের গল্প। যাইহোক, এর পর ‘আলফ্রেড ডানহিল কোম্পানী’ হয়ে উঠলো ইংল্যান্ডের সব চেয়ে বড় তামাকের ব্যবসায়ী। সর্ব প্রথম মেশিন রোল সিগারেট এনে বাজারে হৈ চৈ ফেলে দিলেন এর পর পরই তিনি নিজের ব্র্যান্ড নিয়ে এলেন বাজারে - ‘ডানহিল’ সিগারেট। পাঁচ বছরে হয়ে গেলেন কোটিপতি। নিজের ফ্যাক্টরিতে তামাকের সাপ্লাই পর্যাপ্ত ও বাধাহীন রাখার জন্যে তিনি আমেরিকার বেশ কিছু তামাক চাষীর সাথে বার্ষিক আমদানী চুক্তি করলেন।
ক্রয় চুক্তি পাকাপাকি করার জন্যে ডানহিল আমেরিকা চলে গেলেন এবং তার ক্রয় চুক্তি অনুষ্ঠান হয়ে উঠলো বিশাল মিডিয়া সার্কাস। সেই অনুষ্ঠানে সেনেটর থেকে গভর্নর পর্যন্ত সবাই উপস্থিত ছিলেন। মজার ঘটনা হলো, সত্যি সত্যি ক্রয় চুক্তি নিষ্পন্ন হবার পর এলো স্বাক্ষর করার পালা। স্বাক্ষর এর স্থানে ডানহিল দিলো বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ। লেখাপড়া তো করেন নি তাই এছাড়া তার উপায় ছিলোনা। এতে গভর্নর তাঁকে ছোটো করার সুযোগ পেয়ে বললেন ‘বাহ, লেখাপড়া না জেনেই এত বড় ব্যবসা সামলাচ্ছেন না জানি লেখাপড়া বেশী জানলে কি করতেন!’
ডানহিল শুধু ছোট্ট উত্তর করলেন, ‘লেখাপড়া বেশী জানলে আমি চার্চের ফ্লোরই পরিষ্কার করতাম’।
collected from-https://www.facebook.com/groups/uddokta/permalink/768557863224322/
‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর বেশ চলে যাচ্ছিলো। এমন সময় হঠাত একদিন সেই বুড়ো পাদ্রী মারা গেলেন আর তার জায়গায় অভিষেক হলো এক নতুন তরুন পাদ্রীর। নতুন পাদ্রী কিছুদিন পরেই ‘আলফ্রেড ডানহিল’ – কে ডেকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিলেন, হয় আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে শিক্ষা সনদ জমা করতে হবে নতুবা চাকরি থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর বুঝতে বাকি থাকলো না এবার তার পাঠ চুকেছে। মন খারাপ করে কি করবে, কি ভাবে চলবে, এসব ভেবে ব্যস্ততম সড়কে (বন্ড ষ্ট্রীট) পায়চারী করছিলো। হঠাত তার সিগারেট খাবার প্রবল ইচ্ছা হলো। মনে হলো যেন মাথায় ধোঁয়া না ঢুকালে কিছুই ভেবে কুল করতে পারবে না। দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে এবার সিগারেটের খোঁজে ছুটল ‘আলফ্রেড ডানহিল’। সেই সড়কের শেষ প্রান্তে একটি ছোট গলির খুব ভিতরে গিয়ে সে একটি সিগারেটের দোকান খুঁজে পেলো। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আবার সেই দুশ্চিন্তার শুরু। হঠাত তার মাথায় এলো এই যে এত বড় ব্যস্ততম সড়ক সেখানে একটাও সিগারেটের দোকান নেই। তার মত কত লোকের সিগারেট খেতে মন চাইলে কত দূর অবধি হেঁটে যেতে হয়। তাই এইখানেই একটা সিগারেটের দোকান দিতে পারলে কেমন হয়?
যে ভাবা সেই কাজ পরদিনই চাকরি ছেড়ে নিজের সমস্ত সঞ্চয়কে নিয়ে ছোট্ট, খুব ছোট্ট একটি সিগারেটের দোকান দিলো সেই ব্যস্ততম সড়ক- বন্ড স্ট্রীটে। অল্প কছুদিনের মধ্যেই অভাবনীয় সাড়া পেতে লাগলো ‘আলফ্রেড ডানহিল’ এর সিগারেটের দোকান। এবার সে ব্যবসাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলো, লক্ষ্য করলো তার দোকানের বেশ কিছু ক্রেতা আসেন সড়কের উল্টোপাশ থেকে। কিছুদিন পরেই ক্রেতাদের সুবিধা বিচার করে ‘আলফ্রেড ডানহিল’ সড়কের উল্টোপাশে আরেকটি দোকান খুলে বসলো। এভাবে সেই দুটি দোকান অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চারটিতে পরিনত হলো এবং পরবর্তী তিন বছরে সেই চারটি দোকান ষোলোটিতে পরিনত হলো।
এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কার গল্প বলছিলাম। লাল সাদা প্যাকেটের সেই ডানহিল সিগারেটের গল্প। যাইহোক, এর পর ‘আলফ্রেড ডানহিল কোম্পানী’ হয়ে উঠলো ইংল্যান্ডের সব চেয়ে বড় তামাকের ব্যবসায়ী। সর্ব প্রথম মেশিন রোল সিগারেট এনে বাজারে হৈ চৈ ফেলে দিলেন এর পর পরই তিনি নিজের ব্র্যান্ড নিয়ে এলেন বাজারে - ‘ডানহিল’ সিগারেট। পাঁচ বছরে হয়ে গেলেন কোটিপতি। নিজের ফ্যাক্টরিতে তামাকের সাপ্লাই পর্যাপ্ত ও বাধাহীন রাখার জন্যে তিনি আমেরিকার বেশ কিছু তামাক চাষীর সাথে বার্ষিক আমদানী চুক্তি করলেন।
ক্রয় চুক্তি পাকাপাকি করার জন্যে ডানহিল আমেরিকা চলে গেলেন এবং তার ক্রয় চুক্তি অনুষ্ঠান হয়ে উঠলো বিশাল মিডিয়া সার্কাস। সেই অনুষ্ঠানে সেনেটর থেকে গভর্নর পর্যন্ত সবাই উপস্থিত ছিলেন। মজার ঘটনা হলো, সত্যি সত্যি ক্রয় চুক্তি নিষ্পন্ন হবার পর এলো স্বাক্ষর করার পালা। স্বাক্ষর এর স্থানে ডানহিল দিলো বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ। লেখাপড়া তো করেন নি তাই এছাড়া তার উপায় ছিলোনা। এতে গভর্নর তাঁকে ছোটো করার সুযোগ পেয়ে বললেন ‘বাহ, লেখাপড়া না জেনেই এত বড় ব্যবসা সামলাচ্ছেন না জানি লেখাপড়া বেশী জানলে কি করতেন!’
ডানহিল শুধু ছোট্ট উত্তর করলেন, ‘লেখাপড়া বেশী জানলে আমি চার্চের ফ্লোরই পরিষ্কার করতাম’।
collected from-https://www.facebook.com/groups/uddokta/permalink/768557863224322/
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন