রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করলে, হতাশ হবার কিচ্ছু নাই

যে ছেলেটা পলিটেকনিকের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পায় নাই, সে তো জিন্দেগীতে বুয়েট, মেডিকেল, এমনকি ঢাকা ভার্সিটিতেও চান্স পাবে না। মোটামুটি গ্যারান্টি। আর ভালো জায়গায় চান্স না পাইলে, প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ানোর মত বাপের টাকা না থাকলে, লাস্ট অপশন হিসেবে, অন্যদের ক্ষেত্রে যা হয়, এই ছেলেটার ক্ষেত্রেও তাই হলো। তাকে একটা নরমাল কলেজে ভর্তি করায় দেয়া হলো। নরমাল কলেজ থেকে পাশ করার অনেক সমস্যা আছে। তারমধ্যে প্রথম সমস্যা হচ্ছে, কেউ চাকরি দিতে চায় না। সেই ছেলেটারও একই কন্ডিশন হলো। বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে, টিচার হতে পারবে এমন একটা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হলো। সেই ডিপ্লোমা কোর্স শেষ হবার পরে, অন্য সবার চাকরি হয়ে গেলেও, অভাগা ছেলেটার কপালে কিচ্ছু জোটে না। কত রকমের চাকরির ইন্টারভিউ দেয়, কোন লাভ হয় না। এমনকি ইন্সুরেন্স কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবেও কেউ তাকে নিতে চায় না।
.
কিছুদিন বেকার থাকার পরে, সামারে খন্ডকালীন টিচার হিসেবে দুই মাসের একটা চাকরি পায়। দেখতে দেখতে দুই মাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, যেই লাউ সেই কদু। আবারও বেকার। এরপর আর কি করবে? অন্য সবাই যা করে, সেও তাই শুরু করলো- টিউশনি। এইভাবে এক দুই দিন না, পুরা দুই বছর পরে, তৃতীয় শ্রেনীর সরকারী কেরানী হিসেবে একটা চাকরি পেয়ে যায় সে। চাকরি পেয়ে যাবার পরে অন্যরা যা করে, সেও তাই করলো। বিয়ে, ঘর সংসার করে, কিছুদিনের মধ্যেই দুই সন্তানের বাপ হয়ে গেলো।
.
সরকারী কেরানীর সেই চাকরীটা সে সাত বছর করেছিলো। তারপরে, থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের এক্সট্রাঅর্ডিনারী প্রফেসর হিসেবে ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখে চাকরীর অফার পায়। কেরানী থেকে এক্সট্রাঅর্ডিনারী প্রফেসর হয়ে যাবার কারণটা খুবই বিশ্বাসযোগ্য। কারণ, ছেলেটার নাম আলবার্ট আইনস্টাইন।
.
সো, দুইদিন পরে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করলে, হতাশ হবার কিচ্ছু নাই। কারণ, নামকরা ভার্সিটিতে না টিকলে, আইনস্টাইন হয়ে যাবার চান্স বেড়ে যাবে।

https://www.youtube.com/watch?v=NyK5SG9rwWI

আইনস্টাইন যে টিউশনি করছে- এইটা এইখানে লেখা আছে 
https://www.library.ethz.ch/.../Officer-in-the-patent...

https://www.facebook.com/JhankarMahbub/posts/10152929870261891

1 টি মন্তব্য: