সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৩

এজেন্সি, কিছু স্বপ্ন ও বাস্তবতা

মোবাইল এর ভাইব্রেশন এর হালকা ঝাকুনিতে ঘুমটা ভাঙতেই ভাবছি আজ এত তাড়াতাড়ি সকাল হয়ে গেল। তখন মনে পড়ল গত রাতে ফোনের কথা। কোনভাবেই যখন বান্ধবিকে কিছুতেই শান্তনা দিয়ে তার কান্না থামাতে পারছিলাম না তখন শেষমেষ তার দেয়া শর্ত ল্যাঙ্গগুয়েজ কোর্স শেষে দেশে ফিরে যাবো এতে রাজি হলাম। আর তার পরই চোখের সামনে ভেসে আসছিল অনেকগুলো মুখ আর কিছু প্রশ্ন। সরকারি চাকুরি থেকে অবসরে যাবার পরও যিনি সংসাবের হাল ধরার জন্য আবার ফসলের জমিতে নেমেছেন আর বিনা প্রশ্নে আমাকে তার সারা জীবনের সঞ্চয়ে পেনশনের সবকটা টাকা দিয়েছেন সেই প্রিয় বাবার মুখ।অক্রফাম  জিবির(ওয়াল্ডের নাম্বার ৩ NGO) এর চাকরি ছেড়ে জামানীতে আসব কিনা আর আমি চলে আসলে সংসার চলবে কি করে এই দোটানায় ভুগছিলাম যখন, বাবা তখন আশা দিয়ে বলেছিল আমি আছি না। অনার্স পড়ুয়া ছোট বোনের বিয়ে দিতে হবে। মামা খালাদের কাছ থেকে যে টাকা ধার করেছি তাওতো দেয়া হয় নি। আর দেশে ও তো আমার জন্য কেউ চাকরি নিয়ে বসে আছে না। প্রশ্নগুলো উওর ভোর পযন্ত খুঁজতে খুঁজতে ঘুমিয়ে পড়েছি।
মোবাইলটা আবার কেঁপে উঠতেই চেয়ে দেখি মামার কল। গতকাল ভিসা এক্সটেন্ড করার পরই মামাকে বলেছিলাম ওনার টাকাটা ফেরত দিব। গত প্রায় দেড় বছর ধরে ওনার ব্যবসার পুঁজির টাকাগুলো আমার কাছে। টাকাটা আজই পাঠাতে হবে। ৪ মাস হয়ে গেল জামার্নিতে এসেছি। ভাল জার্মান জানি না, তাই জব ও পাচ্ছিনা। একে একে সবার টাকাই ফেরত দিতে হবে। তার পর চলবে কি করে? এর রকম হাজারো প্রশ্ন আর সমস্যার মধ্যেই পার করে ফেলেছি প্রায় ৯ টি মাস। অথচ কত স্বপ্ন ই না ছিল।
স্বপ্ন খুব ছোট একটা শব্দ কিন্তু তার ব্যাপকতা এত বিস্তৃত যার প্রভাব ব্যক্তি জীবনের সিমানা ছাড়িয়ে পরিবার এমনকি সমাজে ও পরে। স( সাফল্য), ব,( ব্যথতা),প( পরিশ্রম),  ন( নির্ভরতা ) যাদের সমন্বয়ে স্বপ্ন গঠিত। এমন মাানুষ খুঁজে পাওয়া দায়, যে স্বপ্ন দেখে না। স্বপ্ন মানুষকে বাচিঁয়ে রাখে। মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করে যায়।আর এই স্বপ্ন যখন সত্যি হয় তখনই তা হয় সফলতা, আর  বাস্তবায়িত না হলে ব্যার্থতা।
…………………..            …………………………..
               Group image 22012_09_08_18_5_b
……………………… ……………………………..
প্রথম ছবি টি ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ দৈনিক প্রথম আলোর ১৮ পেজ এ আর পরের ছবি টি ১১ জানুয়ারী ২০১৩ র ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ছাপা হয় । যেখানে দেখানো হয়েছে ২২ জন ও ২১ জন জার্মানীর ভিসা পেয়েছে। তারা জার্মানীতে গিয়ে প্রথমে জার্মান ভাষা শিখবে কেউ ২৬ সপ্তাহ আর কেউ ৩৬ সপ্তাহ ভাষা কোর্স শেযে  ইউনিভার্সিটি তে যাবে।ব্যাচেলর অথবা মাস্টাস পড়বে ফ্রি তে। সেপ্টেম্বর ২০১২ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০১৩ এই কদিনে তাদের লাইফের কতটা পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে হয়ত নতুন কোন এড হবে না। কেউ জানতেই পারবে না তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এর পথে তারা কতটা এগিয়েছে তার খবর। কেমন আছে তারা? কি করে কাটছে তাদের জীবন।  তাদের সবার বর্তমান অবস্তা না জানলে ও ২৫ জনের অবস্থা আপনাদের জানাতে চাই।যাদের নিয়ে একটি সার্ভে করি আমরা। যাতে উঠে আসে তাদের বর্তমান অবস্হার কথা। কিছু স্বপ্নের সূচনা থেকে অপমৃত্যুর ধারাবাহিক বর্ণনা তুলে ধরব আপনাদের সামন।বিবেকবান মানুষ হয়ে ও মূর্খের মত আচরন ভবিষ্যতে আর যেন কেউ না করে তার জন্যই এই লেখা। শুধুমাএ একটু সচেতনতা আর সঠিক দিক নিদেশনার অভাবে আমাদের সমাজের সহজসরল মানুযগুলো কিভাবে ফাঁদে পা দিয়ে হাসতে হাসতে নিস্ব হচ্ছে আর অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যায় আর তাদের সপ্ন ভঙ্গের করুন কাহিনী ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। 
কিন্তু কেন গিয়েছিলেন এজেন্সিতে?
এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল সবাইকে। প্রশ্নের উওরে ৩৩% বলেছেন “তারা ভেবেছিল ভিসা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বিশস্ত, নিভরযোগ্য, ভিসার ব্যবস্তা করে দিতে পারবে । বাংলাদেশের নাম করা পএিকায় পূর্বের ভিসা প্রাপ্তদের ছবি দিয়ে নিয়মিত এড দিলে যে কেউ বিশ্বাস করাটাই স্বাভাবিক আর এই বিশ্বাসের সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে ফাঁদে ফেলে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ।আর ভিসা তো পাচ্ছেই কিন্তু তার জন্য যে কি মূল্য দিতে হয় আর পরবর্তী তে দিতে হবে, তাতো আর কেউ জানবে না বা জানে না।
সময় এর অভাবে নিজেরা প্রসেস করতে পারে নি ২০% বলেছে এই কথা বলেছে।অথচ যে সময় ভিসা ওয়ার্ল্ড অফিসের রিসিপশন আর কাউন্সিলর এর রুমে বসে পার করেছে সে সময়ে জার্মানী চলে আসা যায়। আর যথাযথ জার্মানির ব্যাপারে না জানার কারনে এজেন্সির কাছে গিয়েছে ২৩% ।
Why did u go to agency
.
আসলে উপরের সব কটাই খোঁড়া যুক্তি। নেট এ বসে খুঁজব, মেইল করব , টাইম টু টাইম ফলোআপ করবো। কাগজ আর টাকা দিলেই জার্মানি যাওয়া গেলে। কে করে এত ঝামেলা। আর এজেন্সি শুরু তে এমন করে বলে যেন জার্মানি তো মাত্র ২-৩ মাসের ব্যাপার। কাগজ জমা দাও আর টাকা রেডি করে এম্বাসিতে গেলেই হল। ভিসা তো হবেই। আগে কত জনই তো পেল। ১২ ইয়ার স্টাডি গ্যাপ নিয়েও ভিসা পাইসে আর কত খারাপ রেজাল্ট নিযেও ভিসা পাইসে।ভিসা তো হবেই , আর না হলে প্রব্ললেম নাই, ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স এর টাকা তো ফেরত আসবেই। আর ভিসা এর পর সার্ভিস চার্জ । তা ও মাত্র ১৫ হাজার টাকা। তা হলে কে করে ঝামেলা। মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে যদি সব ঝামেলা না করে ই ভিসা পাওযা যায় তা হলে কে করে ঝামেলা। অথচ পরে এজেন্সির ওরা বলছে আর সব কাজ নিজেই করছে মাঝখান দিয়ে এজেন্সিকে এত টাকা দিয়েছ।
সব মিলিয়ে কত টাকার মত খরচ হয়েছে?
আসলে খরচ এর ব্যাপারটা সবাই প্রথমে চিন্তা করে।আর উপরের এডটা একটু খেয়াল করে দেখলে বুঝবেন বলা হয়েছে মাত্র ৩০০০ হাজার ইউরো এর ভাষা কোর্স খরচ। কিন্তু তার সাথে যে আরও কত খরচ যোগ হবে তা বুঝা যায় পরবতীতে। একজন ছাত্র জামানীতে ১ বছর থাকা খাওয়া বাবদ খরচ (৮০০০ ইউরো জার্মান সরকারের হিসাব অনুযায়ী) হয় তার চেয়ে ও বেশি টাকা খরচ করে প্রায় দশ লাখ টাকা এর চেয়ে বেশি খরচ করেছে এই ২৫ জনের ১১ জন। ৯ জনের ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে।
.
Money spend
যদিও শুরুতে ভিসা ওয়ার্ল্ড অফিস থেকে বলেছিল ৩-৪ লাখ টাকার মধ্যে বিমান ভাড়া সহ হয়ে যাবে। আসলে এটা তাদের একটা ট্রিক। বিস্তারিত বর্ননা পরে আসবে। তবে এত টাকা কেন লাগবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
জার্মান কোর্স ফি ২৪০০ ইউর. (ব্যাচলর) , ৩৬০০ ইউরো (মাস্টার্স)
বাসা  ১০৫০ তিন মাস এর জন্য
সার্টিফিকেট প্রেরন=৩৫০০ Bdt
কোর্স ফি পাঠান ব্যাংক ফি = ৩০০০ ইউরো
ইন্সিউরেন্স ফি ৩০০ ইউরো
 University+ language course enrolment fees= ২৫০ ইউরো
.
Fees
.
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে সকল স্টুডেন্ট দের কাছ থেকেই তাদের ssc, hsc certificate, mark-sheet আর কাগজ পাঠাতে চার্জ নিচ্ছে ৩৫০০ টাকা কিন্তু তারা এক সাথে কিন্তু অনেকের ডকুমেন্ট পাঠাচ্ছে। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার সবার কাছ থেকে ২৫০ ইউরো নিচ্ছে university enrolment fee হিসাবে কিন্তু সবার তো কন্ডিশনাল অফার লেটার। আবার অনেককেই যে অফার লেটার দেয়া হযেছে তা আসলে শুধুমাত্র এমবেসী তে ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্য।একটা নতুন স্টুডেন্ট যখন ভিসা অফিসে তথ্যের জন্য যায় সবাই যখন টাকার ব্যাপারে জানতে চায় তার সার-সংক্ষেপ হচ্ছে এমন ভিসা এর আগে tuition fees এর অর্ধেক,ডকুমেন্ট সেন্ড,  university enrolment বাবদ ২৮০০০০ টাকা শুরুতে খরচ হবে। আর বিমান ভাড়াসহ সবমিলিয়ে ৪ থেকে ৪.৫ লাখ টাকা লাগবে।আর নিজের একাউন্টে ৭৯০৮ ইউরো ব্লক করে রাখতে হবে যা কিনা ভিসা হবার পর তোলা যাবে। শতকরা ৯৯.৯৯% স্টুডেন্ট নাকি ব্লক ভেঙ্গে আসে ভিসা ওয়ার্ল্ড এর মালিক আমাকে এ কথা বলে তাদের এই কথায় বিশ্বাস করেই অনেকে ধার করে আর ভিসা পেয়ে ব্লক ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু এখানে এসে যখন সমস্যায় পরে তখন আসলে কিছু করার থাকে না। এখানে এই সমস্যায় পড়ে ২ জন সমাধান না করতে পেরে তাদের অভিভাব পাঠায় আবার Agency এর কাছে আর তাদের suggestion ব্যাঙ্ক কে কিছু টাকা বেশি দিয়ে তার পর টাকা এনেছে। কিন্তু টাকা আনতে হয়েছে, যা  Agency Hide করেছে।
.
Why did u go to agency
.
আপনি এজেন্সির সার্ভিস কে আপনি কি ভাবে মূল্যায়ন করবেনঃ
৫৬% বলেছে খুবই খারাপ। আর মাত্র এক জন বলেছে ভাল।আগেই বলেছি, সবাই ভেবেছিল টাকা আর পেপারস দিলেই ঝামেলা শেষ। যা করার এজেন্সিই করবে,সব কিছু ঠিক করে দিবে তারা। আসলে কি তা হযেছে? পরে দেখা গেছে যে সব কাজ নিজেকেই করতে হচ্ছে। ওরা খালি বলছে এইটা কর তার পর এইটা কর। অবশ্য ঠিকই আছে, তারা তো কন্সাল্টেন্সি ফার্ম। মানুষকে বোকা বানিয়ে কি করে টাকা নেয়া যায় তা তারা ভাল করে জানে। আর জার্মানীতে আসার পরে যাতে কেউ ঝামেলা না করতে পারে, তাই আশার আগেয়ই একটা পেপার এ সাইন করিয়ে নেয়, যেখানে লেখা থাকে ভিসা ওয়ার্ল্ড এর বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নাই। আর স্টুডেন্টরা তো ভিসা পেয়েই খুশি, তাই তারও সানন্দে সাইন করে আসে।
.
Reliability
.
নতুনদের জন্য আপনাদের পরামর্শ কি যারা জার্মানী যেতে চায়ঃ
এজেন্সি তে যাবার কথা বলেছে মাত্র এক জন। ১৭ জন বলেছে দয়া করে কেউ এজেন্সি তে যাবেন না ।এত ঝামেলা পোহানোর পর ও কাউকে এজেন্সিতে যাবার পরামর্শ দেয়া কি যায়? তার পরও যদি কারো মনে হয় ইচ্ছা করে প্রতারিত হতে, তাহলে যেতে পারেন। ২০ জন বলেছে নিজে নিজে চেষ্টা করেন। আর ১১ জন বলেছে BSAAG এর সাহায্য নিতে।
Suggestion for new
.
সবাই এসেছে  জার্মান কোর্স এর পর bachelor or masters এর কন্ডিশনাল অফার লেটার নিয়ে। ১১ জন ২৬ সপ্তাহের ল্যানগুয়েজ কোর্স(B1) শেষে Studienkolleg or bache course এ যাবে আর ৬ জন ৩৬ সপ্তাহের ল্যানগুয়েজ কোর্স(বি২) শেযে Test DAF or DSH দিয়ে মাস্টার্স করার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু কেউই B2 এ যেতে পারে নি। একজন যে গিয়েছিল সে ভালভাবে B1 শেয করার পর Studienkolleg test দিয়ে চান্স পায় নি। আর অনেকেই একই কোর্স ২/৩ বার করছে।
কিন্তু কেন এই অবস্থা?তার পেছনের কারনগুলো খুঁজলে পাওয়া যায় যে জার্মানীতে জীবন যে এত কঠিন হবে তা তারা জানত ই না। এজেন্সি বাসা ঠিক করে দিয়াছে ৩ মাসের জন্য তাও ভাড়া মাসে ৩৫০ ইউরো করে।আসলে ভাড়া ৩০০ ইউরো(বাড়িওলা জানায়), স্কুল ৫০ ইউরো করে কমিশন নিচ্ছে। তিন মাস পর তো আর বাসা নাই ।ল্যানগুয়েজ স্টুডেন্টকে কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায় ন। আর স্কুল থেকে নিলে, ৩৫০ ইউরো মাসে দিতে হবে।
Correct info
মজার ব্যাপার হল, ল্যাঙ্গুয়েজ স্টুডেন্টদের যে কাজ করার অনুমতি নেই, তা কেউ জানেই না।বরং তাদের কয়েক জনে জন্য জব রেডি আছে, এজেন্সি এমনও বলেছে অনেককে। ৬০% কে বলেছে যে তারা কাজ করতে পারে। আর তা দিয়ে খরচ ও চলবে। কিন্তু এখানে এসে বাস্তবতা তাদের কথার সাথে মিলছে না।
Work permit
বাংলাদেশ থাকে আশার পর এইখানে শুরু হয় আর এক নতুন জীবন । যাকে জীবন না বলে জীবন সংগ্রাম বললে ঠিক হবে। এ সংগ্রাম টিকে থাকার। বাসা নেই, জব নেই, ব্লক এ টাকা নেই, ভিসা বাড়াতে হবে । তার উপর একদম নতুন একটি ভাষা শেখার চেষ্টা।
তার পর আসি খরচ এর কথায়। মাসিক বাসা ভাড়া ৩০০-৩৫০ ইউরো + ট্রান্সপোর্ট মাসিক কার্ড ৫১ ইউরো (language student  তাই student/semester card দেয় না)+ খাবার ৮০-১১০ ইউরো+ অন্যান্য ৫০। সব মিলিযে ৫৫০-৬০০ ইউরো। আর student job করে পাওয়া যায় ৪০০ ইউরো। তাই বুঝুন জীবন এইখানে কতটা আনন্দে কাটে।
তার পর আসি ভিসা এর কথায়, ভিসা পাযেছে সবাই তাদের Language course এর  duration অনুযায়ী, কারও April, May  or কার June বা July এ ভিসা শেষ। কিন্তু কেউই এখনও Language course শেষ করতে পারে নি, এত চিন্তা এর মাঝে কি পারা যায় । তাই তো আনেক এই A1, A2 Repeat করছে,আর তাই ল্যাঙ্গুয়েজ শেষ না করতে পারায় University admission তো পরের কথা apply ও করতে পারছে না। তা হলে এখন কি হবে। স্কুল বলছে course বাড়াও, মানে per week 100 Euro করে July পর্যন্ত ২০০০ ইউরো দিল july পর্যন্ত course করে Test Daf  দিয়ে Then University।তার মানে ২০০০+(৫*৫০০)= ৪৫০০ ইউরো July পর্যন্ত। কোথা থেকে আসবে ৪৫০০ ইউরো। আর বাংলাদেশ এর ঋণ এর টাকা কি করে দেয়া হবে? কেউ জানে না তার উত্তর? তাকিযে আছে আজানা পথের দিকে!
যতদূর মনে হয উপরের ২৫ জন এর জীবনের গল্প এমন এ হবে। কারও একটু কম, কারও একটু বেশি! প্রায় এক রকম।
সব শেষে এক কথায় এজেন্সি কে আপনি কি বলবেন?:
কি আর বলা যেতে পারে, তা আর না বলে আপনারা নিজেরাই দেখুন গ্রাফ টা।
One  word
.
সবশেযে একটি কথাই সবাই কে বলব। আমরা কিন্তু অনেকেই জানতাম না যে জার্মানীতে আসার পর আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। এজেন্সি আমাদের যা বলেছে আমরা তা-ই বিশ্বাস করেছি, আর তারা আমাদের বিশ্বাস কে পুঁজি করে, অনেক টাকা নিয়ে, আমাদের ঠেলে দিচ্ছে আনিশ্চয়তা এর দিকে। সবার একই কথা টাকা খরচ, তারপরও যদি সব কিছু ঠিক থাকত তাহলে কষ্ট তা কম হত। টাকাও দিলাম, আর এখন কষ্টও করছি।সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে, কেউ জানে না। আমার না হয়, না জেনে ভুল করেছি।সব কিছু জেনে, আপনিও কি সেই একই ভুল পথে পা বাড়াবেন?
সিধান্ত আপনার। আপনি যেন এই ভুল না করেন তার জন্যই আমাদের এই লেখা। সবাই ভাল থাকবেন আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন