এই বর্ষায়, বৃষ্টিতে ভিজে বলধার প্রকৃতি যেন আরও বেশি প্রাণচঞ্চল। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত বাগান, যেন ঢাকার বুকে একখণ্ড সবুজ স্বর্গলোক।
বলধা গার্ডেনে ঢুকতে টাঙানো ফলক থেকে জানা যায়, ১৯০৯ সালে এই বাগান প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন বলধা এস্টেটের জমিদার নরেন্দ্রনারায়ন রায়চৌধুরী। শুরুতে দেশের বিরল লতাপাতা, ঝোপজাতীয় ঘরোয়া উদ্ভিদ, অর্কিড ও ক্যাক্টাস রোপন করেন। এই অংশের নাম দেন ‘সাইকি’। যার অর্থ ‘আত্মা’। ১৯৩৬ সালে এই অংশের গাছপালাগুলোর বংশবিস্তারের জন্য আরও ৩.৮ একর জমি ব্যবহার করেন তিনি। এ অংশের নাম দেন ‘সিবলি’। যার অর্থ ‘প্রকৃতির দেবী’।
নারায়ন রায় মারা যাওয়ার পর ১৯৪৩ সালে কলকাতার হাইকোর্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে বাগানের দেখাশোনা করা শুরু করে। পরে ১৯৬২ সালে বন বিভাগকে বলধা গার্ডেনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চওড়া রাস্তা দিয়ে বাগানটি দুভাগে বিভক্ত। ঢুকে কিছুদূর গেলেই হাতের বামে পড়বে শঙ্খনদ-পুকুর। চারধারে বসে আড্ডা দেওয়ার মতো বেশ জায়গা। আছে পাকাসিঁড়ি, ধাপ নেমে গেছে পানি পর্যন্ত। অনেকেই পুকুরের পানিতে গোড়ালি ডুবিয়ে সেখানে বসে গল্প করছেন।
শঙ্খনদ লাগোয়া দোতলা বাড়ির নাম ‘জয় হাউজ’। পুরনো কাঠামোতে দোতলায় উঠার সিঁড়িটা লোহার, সামনে তিন দিকে খোলা বারান্দা। সেখানে প্রকৃতির নির্মল বাতাসে জিরিয়ে নেওয়ার মতো পরিবেশ।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক নজরেই পুরো বাগানের প্রাকৃতিক শোভা মনের মাঝে গেঁথে নেওয়া যায়। জয় হাউজে বসেই বলধা গার্ডেনের ক্যামেলিয়া ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘ক্যামেলিয়া’। শঙ্খনদের পশ্চিম দিকেই রয়েছে একটি সূর্যঘড়ি।
শরিফুল বলেন, “বলধা বাগানকে বলা হয় উদ্ভিদের জীবন্ত অভিধান।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই বাগানে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ৮শ প্রজাতির ১৮ হাজার উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা আছে।
অসংখ্য বিরল ও দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে আছে অর্কিডের বৃহৎ ভাণ্ডার। নানা প্রজাতির জলজ উদ্ভিদের মধ্যে শাপলা, নীলপদ্ম, হলুদশাপলা, কচুরিপানা এবং সুদৃশ্য আমাজান লিলি। ২ মিটারের বেশি ব্যাসার্ধের থালার মতো দেখতে এর পাতা অনেক পুরু ও শক্ত। লিলি ফুল খুবই আকর্ষণীয়, সন্ধ্যায় ফোটে।
ক্যাক্টাস হাউজে রয়েছে বিচিত্র ধরনের মনোমুগ্ধকর ফণিমনসা গাছ।
এছাড়াও বাগানে রয়েছে দুর্লভ পামপ্রজাতির উদ্ভিদের এক বিশাল সংগ্রহ। রয়েছে হরেক রকমের লতা, গুল্ম, ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ।
বাগানে দেখা যাবে দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির গাছ শারদমল্লিকা, লতাজবা, ক্যানাংগা, কনক সুধা, কন্টক লতা, প্যাপিরাস, ধূপগাছ, শ্বেত শিমুল, হিং, উভারিয়া, রুপেলিয়া, কর্ডিয়া, অঞ্জন, গড়শিঙ্গা, অক্রকারপাস, পোর্ট ল্যান্ডিয়া, ওলিয়া ইত্যাদি।
বলধা বাগানে ভাড়ায় চিত্রায়ন ও সাইকি অংশে শিক্ষার্থীদের গবেষণার ব্যবস্থা আছে। ছাত্রছাত্রীরা আগে থেকে আবেদন করলে বিনামূল্যে বাগান দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক ১০ টাকা। অপ্রাপ্তবয়স্ক ৪ টাকা। শিক্ষার্থী ও গবেষণাকারী ৫ টাকা।
বন্ধ নেই
সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা। তবে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলে মধ্যাহ্ন বিরতি।
যাবেন যেভাবে
যাত্রাবাড়ীর দিকে যাওয়া বা সেখান থেকে ছেড়েআসা ৮ নম্বর গাবতলী পরিহন, বলাকা সিটিং সার্ভিস, ৩৬ নম্বর আর্ক পরিবহনের বাসে চড়ে রাজধানী সুপার মার্কেটে নামতে হবে। এখান থেকে হাটখোলা রোড ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই যাওয়া যায় বলধা গার্ডেন।
৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়ায় গুলিস্তান থেকেও রিকশা দিয়ে সরাসরি যাওয়া যায়।
লেখাটি এখান থেকে নেয়া হয়েছে
Baldha Garden is an botanical garden which spans 3.15 acres (1.27 ha) of land located at Wari in the old part of the city of Dhaka, the capital ofBangladesh. It has a collection of 672 species of plants.[1] The Baldha Garden is now managed as a satellite unit of the National Botanical Gardenby the Department of Forestry.
Baldha Garden is one of the oldest Botanical Gardens in Bangladesh. It was established by Narenda Narayan Chawdhury. Currently located at Wari, in the Old part of Dhaka city, the traditional Baldah Garden is a satellite unit of the National Botanical Garden situated in Mirpur. The garden is enriched with rare plant species collected from different parts of the world.
| Baldha Garden | |
|---|---|
Baldha Garden, Dhaka
| |
| Type | Botanical garden |
| Location | Wari, Dhaka, Bangladesh |
| Area | 3.15 acres (12,700 m2) |
| Created | 1909 |
| Operated by | Department of Forestry, Ministry of Environment and Forests. |
| Open | All year |
History[edit]
Baldah Garden, a botanical garden, located at Wari in the old part of the city of Dhaka. It is one of the oldest botanical gardens established in this part of Bengal by a private individual. The naturalist, philanthropist and poet Narendra Narayan Roy Chaudhury, landlord of the Estate of Baldah, established the garden on his own property in 1909. It is divided into two units. The larger unit is named Cybele after the Greek nature goddess of fertility. It is roughly rectangular, with the northern side slightly cutting a corner, and measures about 136 metres in length and 76 metres in width. The smaller unit, Psyche meaning 'soul', is approximately 100 metres long and 45-metre wide. Chaudhury passionately enriched the garden with rare plant species collected from different parts of the world until his death in 1943, when further enrichment of the garden came to a halt. This situation continued until 1962, when the garden was handed over to the government of East Pakistan and the Forestry Department took charge of managing the garden. After the creation of Bangladesh in 1971, the Department of Forestry of the new government began to work with renewed vigour for its improvement. As a result much of its past glory has now been restored with the addition of two new greenhouses and modernisation of civil amenities inside the garden. The Baldah Garden is now managed as a satellite unit of the National Botanical Garden by the Department of Forestry.
Architectural significance[edit]
The 3.36 acres (13,600 m2) garden is divided into two units. The larger unit is named Cybele after the Greek nature goddess of fertility. The smaller unit, Psyche means “soul” in Greek language. The Cybele is roughly rectangular with the Northern side slightly cutting a corner. It measures about 136 meters in length and 36 meters in width. The Psyche is approximately 100 meters long and 45 meters wide. The Psyche has a large pond in the middle. To enjoy the floristic beauty of the garden a rest house-cum amphitheatre, called the Joy House was built in the garden. It has been visited by many celebrities, including the poet Rabindranath Tagore whose poem ‘Camellia’, a plant introduced from Japan, was actually written while he was staying in the Joy House. There is a big sundial in this unit of the garden which shows the time of the day with precision on sunny days and is still a surprise attraction to the visitors, particularly children.
Present condition[edit]
The collection of the garden is classified into seven categories – orchids, cacti, conservatory plants, aquatic plants, roses, rockery and wall plants, arboretum, and miscellaneous flora. The garden has about 150,000 plants representing 672 species. Many of these are exotic and rare plants; perhaps the richest collection of exotic plants in the country is housed in the Baldah Garden. The flora of the garden represents collections from over 50 different countries. The garden has among its attractions the ‘century plant’ which is believed to flower only once in hundred years, and was seen in bloom a few years back. The Adansonia digitata tree which adorns the garden is historical. Central African aborigines used to seal their deads in holes dug into the cavity of the tree in order to mummify the body long before the days of the Pharaohs. The Psyche unit of the garden houses several varieties of the aquatic plant Nymphea pubescens, the national flower of Bangladesh which is called ‘shapla’ in Bangla, maintained in a section of the garden known as the Shapla House. The rose garden in Cybele is famous throughout the subcontinent for its rich collection of roses. One of the two greenhouses has rich collections of orchid, aroids and conservatory plants. The Baldah Garden, although relatively small in size, is an exciting place for naturalists and tourists to visit.
BALDHA GARDEN
Baldha Garden is an enriched botanical garden which spans 3.15 acres (1.27 ha) of land located at Wari in the old part of the city of Dhaka, the capital of Bangladesh. It has a collection of 672 species of plants.The Baldha Garden is now managed as a satellite unit of the National Botanical Garden by the Department of Forestry.
Baldha Garden is one of the oldest Botanical Gardens in Bangladesh. It was established by Narenda Narayan Chawdhury.
Currently located at Wari, in the Old part of Dhaka city, the traditional Baldah Garden is a satellite unit of the National Botanical Garden situated in Mirpur.
The garden is enriched with rare plant species collected from different parts of the world.
History:
Baldah Garden a botanical garden located at Wari in the old part of the city of Dhaka. It is one of the oldest botanical gardens established in this part of Bengal by a private individual. The naturalist, philanthropist and poet Narendra Narayan Roy Chaudhury, landlord of the Estate of Baldah, established the garden on his own property in 1909. It is divided into two units.
The larger unit is named Cybele after the Greek nature goddess of fertility. It is roughly rectangular, with the northern side slightly cutting a corner, and measures about 136 metres in length and 76 metres in width. The smaller unit, Psyche meaning ‘soul’, is approximately 100 metres long and 45 metre wide. Chaudhury passionately enriched the garden with rare plant species collected from different parts of the world until his death in 1943, when further expansion of the garden came to a halt.
This situation continued until 1962, when the garden was handed over to the government of East Pakistan and the Forestry Department took charge of managing the garden. After the creation of Bangladesh in 1971, the Department of Forestry of the new government began to work with renewed vigour for its improvement, with the result that most of its past glory has now been restored with the addition of two new greenhouses and modernisation of civil amenities inside the garden. The Baldah Garden is now managed as a satellite unit of the National Botanical Garden by the Department of Forestry.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন